যে ধরণের প্রেমিকারা আপনার জীবনকে বানিয়ে দিতে পারে নরক!

ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অনুভূতি অনেক বেশি সুন্দর। এই অনুভূতির সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। প্রথম প্রথম প্রেমের অসাধারণ অনুভূতির রেশ কিন্তু খুব বেশীদিন থাকে না। কিছু দিনের মধ্যেই একেঅপরের বিশেষ কিছু আচরণ প্রকাশের মাধ্যমে বুঝতে পারেন প্রেম জিনিসটি খুব বেশি সুখকর নয়। এই ধরণের জ্বালাময়ী অনুভূতি না পেতে চাইলে আগেই প্রেমিকার কিছু বিষয়ের উপর নজর দিন।

কারণ আপাত দৃষ্টিতে প্রেমিকার এইসকল বিষয় গুণ বলে মনে হলেও পরবর্তীতে আপনার জীবনটা নরকে পরিণত হতে বেশীদিন লাগবে না। এবং কিছু ধরণের মেয়ে হতে দূরে থাকুন। কারণ এই ১৫ ধরণের নারী প্রেমিকা হয়ে গেলে আপনার জীবন হবে নরকের সমতুল্য।

১) আঠা ধরণের প্রেমিকা
প্রথম প্রথম ‘তোমাকে ছাড়া কিছু করতে পারি না, তোমার সাথে সারাক্ষণ থাকতে ইচ্ছে করে’ জাতীয় কথা অনেক বেশি মধুর শোনালেও যখন সত্যিই সারাটা সময় আপনার সাথে আঠার মতো লেগে থাকতে চাইবেন আপনার প্রেমিকা, তখন কিন্তু ঝামেলা আপনারই হবে।

২) অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া প্রেমিকা
ওই মেয়ের সাথে কথা বলবে না, আমাকে ছাড়া সেখানে যাবে না ইত্যাদি আদুরে আবদার যদি আপনার প্রেমিকার মধ্যে থাকে তাহলে সমস্যায় পরতে বেশি দেরি নেই আপনার। কারণ এই ছোট বিষয়গুলো দিয়েই আপনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।

৩) আপনার কাছ থেকে সুবিধা নেয়া প্রেমিকা
সব সময় তার সব কাজে আপনাকে ডাকাতে কি আপনি ভাবছেন তিনি আপনাকে অনেক আপন ভাবেন? তাহলে জেনে রাখুন তিনি হচ্ছেন সুবিধা নেয়া প্রেমিকা। তিনি আপনার সাথে আছেন কারণ তিনি আপনাকে ব্যবহার করতে পারছেন।

৪) নিজের চুল স্বীকার করতে না চাওয়া প্রেমিকা
যিনি নিজের ভুল স্বীকার করতে চান না তাকে নিয়ে কখনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। কারণ একজন মানুষ ভুল করা তখনই শোধরাতে পারেন যখন তা মেনে নিয়ে নিজেকে শোধরাতে চেষ্টা করেন। এইধরনের প্রেমিকার সাথে জীবন নরকের মতোই।

৫) সবসময় অভিযোগ করা প্রেমিকা
সবকিছুতেই তার সমস্যা ও অভিযোগ। আপনার সবকাজ নিয়েই তার অভিযোগের সীমা নেই। এইধরনের প্রেমিকাকে কখনোই খুশি রাখতে পারবেন না, তখন জীবনটাকে নরকই মনে হতে থাকবে।

৬) দ্বিধাগ্রস্থ প্রেমিকা
সব ব্যাপারই আপনার প্রেমিকার দ্বিধা। তিনি নিজেও জানেন না তিনি কি চান। আবার সেটা না পেলে নিজে নিজেই অভিমান করে বসে থাকেন। এইধরনের প্রেমিকার মনের কথা উদ্ধার করতে করতেই জীবনের বারোটা বেজে যাবে।

৭) সবকিছু চাই ধরণের প্রেমিকা
তার কাছে দুনিয়ার সবকিছুই অনেক কম মূল্যের। আপনি যদি চাঁদটাও এনে দেন তাহলে সূর্যের জন্য আবদার করে বসে থাকবেন। সুতরাং এই ধরণের প্রেমিকা থেকে সাবধান।

৮) নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকা প্রেমিকা
সিদ্ধান্ত জানানো ভালো, এতে করে বোঝা যায় তিনি আত্মনির্ভরশীল। কিন্তু সমস্যা হলো সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে গোঁ ধরে বসে থাকা। সিদ্ধান্ত তখনই নেয়া ভালো যেখানে অপরপক্ষের মতামত থাকে। নিজ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে অটল হয়ে বসে থাকা প্রেমিকা জীবনটাকে নরক বানাতে পারেন।

৯) কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না চাওয়া মিষ্টি প্রেমিকা
সব কিছুই আপনি করে দেন, সব সিদ্ধান্তই আপনার উপরে মিষ্টি হেসে ছেড়ে দেন। ভাবছেন বাহ! পারফেক্ট প্রেমিকা। আসলে তিনি আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে দিয়ে দেখেন আপনি তার মতামতের সাথে মেলেন কিনা। যদি না মিলিয়ে চলতে পারেন তাহলে অভিমান করে অন্য দিক দিয়ে ঠিকই আপনাকে খেসারত দেয়াবেন।

১০) ঘোরানো ধরণের প্রেমিকা
তিনি আপনার সাথে সম্পর্কে আছে কি নেই তা আপনি সঠিক বুঝতে পারবেন না। একধরণের মোহ কাজ করে যিনি আপনার সাথে অনেক বেশি রহস্য করেন, কিন্তু আপনার এই ঝুলে থাক্যা জীবন কিন্তু নরকের মতোই হবে।



মন্তব্য চালু নেই