যে কারণে সবার মন জয় করেছে ডিজিটাল কন্যা ‘সায়া’

গত বছরই জাপানিরা নতুন এক সেলিব্রিটির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। তবে সায়া নামে সে সেলিব্রিটি কোনো রক্তমাংসের মানুষ নয়। তবে জাপানিরা এ ডিজিটাল কন্যাকেই বহু সেলিব্রিটির তুলনায় বেশি পছন্দ করছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিবিসি।

জাপানি ডিজিটাল কন্যা সায়া মূলত টোকিও কম্পিউটার ল্যাবের সৃষ্টি। আর সব বাবা-মায়ের মতোই নিজেদের এ ডিজিটাল কন্যাকে নিয়ে বেশ আশাবাদী টোকিও কম্পিউটার ল্যাব।

সায়া নির্মাণে যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম গ্রাফিক আর্টিস্ট ইয়ুকা ইশিকাওয়া ও তেনরুইয়ুকি দম্পতি। ইশিকাওয়া বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি তাকে কোথাও দেখেছি- মানুষ সায়াকে দেখলে এমনটাই বলে।’

প্রায় বাস্তব এ স্কুলছাত্রীর ছবি যখন অনলাইনে পোস্ট করা হয় তখন অনেকেই অবাক হন যে, কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে কত অসাধারণ শিল্প সৃষ্টি করা সম্ভব। তার বাঁকানো স্কুল টাই, ঘন চুল, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া ত্বক ও তারুণ্যের মাধুর্য হাজার মানুষকে আকর্ষণ করে। কিন্তু যখন তারা জানতে পারেন, সে শুধুই কম্পিউটারের সৃষ্টি, কোনো বাস্তব কন্যা নয় তখন তারা অবাক হয়।

ইশিকাওয়া দম্পতি প্রায় এক বছরের চেষ্টায় সায়াকে নিখুঁত রূপে তৈরি করেছেন। আর এ কারণে সায়া যেন তাদের কন্যা হয়ে উঠেছে।
শুধু কম্পিউটারেই নয় এরপর বাস্তবেও মডেল হিসেবে তৈরি করা হয় সায়াকে। অনেকেই সায়াকে শুধু ছবিতে নয় বাস্তবেও দেখতে চাইছিলেন। এ বিষয়ে বহু মানুষের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে ইশিকাওয়া দম্পতি তাদের কাজ ছেড়ে দিয়ে সায়ার মডেলিং তৈরির কাজে একটি প্রকল্প নেন। আর এ কাজে এগিয়ে আসে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।

এরপর শুধু ভার্চুয়াল মডেলিংয়ে নয় রোবট আকারে তৈরি করা শুরু হয়েছে সায়াকে। এ কাজ এখন অনেকদূর এগিয়েছে। নির্মাতারা আশা করছেন, সম্পূর্ণ মানুষের আদলেই নির্মাণ করা সম্ভব হবে সায়াকে। কারণ বহু মানুষই সায়াকে দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।



মন্তব্য চালু নেই