যে কারণে আনার খাবেন
আনার পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্বচ্ছ রসের এই ফলটি খেতেও সুস্বাদু। আনারে থাকা পুষ্টি উপাদানসমূহ আমাদেরকে নিরোগ রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর গুণসহ আনার অ্যান্টি-এজিং ফল হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। রোগীর পথ্য হিসেবেও এর দেখা মেলে। আনারের রয়েছে আরো বেশকিছু গুণ। চলুন জেনে নেয়া যাক-
আনারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড। ত্বকের প্রদাহ প্রশমিত করার গুণও রয়েছে এতে। তার সঙ্গে ফলটি ত্বকের কেরাটিনোসাইট কোষের পুনরুজ্জীবন ঘটায়। ফলে বয়সের ছাপ সহজে পড়ে না ত্বকে।
ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে একে স্বাস্থ্যকর উপায়ে পরিচর্যা করতে হবে এবং একে যেকোনো ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন জীবাণুরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এ উপাদানটির জন্য আনার রীতিমতো খ্যাতি লাভ করেছে।
আনারের অর্গানিক জুস ত্বকের যত্নে দারুণ উপাদান। এর ক্ষুদ্র আকারের মলিকিউল গঠন ত্বকের গভীরে পৌঁছে তাকে হাইড্রেট করে। এই রসে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং সাইটোকেমিক্যাল রয়েছে।
ত্বকের ওপরের দিকের স্তরটি ডেরমিস। এটি কোলাজেন এবং ইলাস্টিক ফাইবার দিয়ে প্রস্তুত। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে এই ডেরমিস অংশে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। তখন কোলাজেন গঠনের জন্য প্রোটিনের সরবরাহ দিতে ভিটামিন ‘সি’ এর প্রয়োজন হয়। আনারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
আনারের হালকা মিষ্টি নরম বীচিগুলো ছেঁচে তা খেলে ত্বকের মৃত অংশগুলো দূর হয়ে যায়।
মন্তব্য চালু নেই