যে কর্ম হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ !

ঠিকঠাকভাবে বেঁচে থাকতে, সুস্থ থাকতে আর কর্মক্ষম থাকতে মানুষের জীবনে কাজের বিকল্প নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই কাজই আপনাকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর দিকে? বাস্তবে সত্যিই কিছু পেশা রয়েছে যেগুলোতে মানুষ নিজের জীবনকে ঠেলে দেয় মৃত্যুর আরো কাছাকাছি। অন্তত অন্যদের চাইতে খানিকটা বেশি তো বটেই। আর এমন মৃত্যুকে আরো একটু কাছে নিয়ে আসা পেশা গুলোকে নিয়েই আজকের আয়োজন।

সেবিকা
সেবিকা বা নার্সদের পেশাটা রোগ সারিয়ে রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানোর হলেও গবেষনায় পাওয়া গিয়েছে যে অন্যদের সুস্থ করে তোলার এই পথটিতে তারা নিজেরা অনেকসময় পড়ে যান বিপদের মুখে। মূলত, নার্সদের পেশাকে পৃথিবীর সবচাইতে অস্বাস্থ্যকর কাজের ভেতরে একটি বলে মনে করা হয়। এদিক দিয়ে এই পেশাকে দেওয়া হয় ৫৩.৫ স্কোর ( বিজনেস ইনসাইডার )। সম্প্রতি জার্নাল অব নার্সিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক পরিসংখ্যানে পাওয়া যায় যে নার্সদের প্রায় ৫৫ শতাংশই স্থুল দেহের অধিকারী। এক্ষেত্রে মোট ১৯ হাজার নার্সকে পরীক্ষা করা হয়। আর জানা যায় যে, কাজের সময় তাদের ১০ শতাংশই আহত হয়ে থাকেন ( রিয়েল বাজ )।

বৈমানিক বা বিমানবালা
উড়োজাহাজ চালানো বা বিমানবালা হওয়াটা অনেকের কাছে বেশ আকর্ষনীয় পেশা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতে এ পেশাটি অস্বাস্থ্যকর অবস্থার দিক দিয়ে পায় মোট ৫৫.৭ স্কোর ( বিজনেস ইনসাইডার )। বৈমনিকদের ক্ষেত্রে এক স্থানে এতটাক্ষণ বসে থাকা, রেডিয়েশনের প্রভাব সহ্য করা সহ আরো বেশকিছু সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে হয় একজন মানুষকে। আর যদি বলা হয় বিমানবালার কথা, এমনিতে এ পেশাটিকে যথেষ্ট উত্তেজনাময় আর উপভোগ্য মনে হলেও গবেষনায় পাওয়া গিয়েছে যে, বিমানবালা, বিশেষ করে যারা রাতের শিফটে কাজ করে থাকেন, তাদের স্তন ক্যন্সার হওয়ার প্রচন্ড ঝুঁকি থাকে (রিয়েল বাজ)।

লোহার কারিগর
রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে গেলেই আপনার চোখে পড়বে কিছু মানুষ আলোর বিচ্ছুরন ঘটিয়ে এক মনে কাজ করে যাচ্ছে লোহার ওপর। না তাদের হাতে আছে কোন বাড়তি সাবধানতামূলক কিছু, না আছে মুখে কোন মাস্ক। ফলে এদেরকে সহজেই বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন ৫২.৮ স্কোর (ডেইলি মেইল)। হুটহাট পুড়ে যাওয়া, আঘাত পাওয়া থেকে শুরু করে মারাত্মক কিছু হওয়ার আশংকা এদের থাকে বেশি। এছাড়াও এ পেশায় চোখ, ত্বক ইত্যাদিও থাকে ১০০ শতাংশ ঝুঁকিতে।

পশু চিকিৎসক
পশু চিকিৎসকদের কাজের ক্ষেত্রটা দিনকে দিন আমাদের দেশে বেড়ে চলেছে। আর অন্য সব দেশে তো এটা বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা। তবে যতটাই জনপ্রিয় হোক না কেন, অস্বাস্থ্যকর পেশা হিসেবে এটিকে ১০০ এর ভেতরে দেওয়া হয়েছে ৬০.৩ ( বিজনেস ইনসাইডার )। পশুদের শরীর থেকে আসা রোগ, সংক্রমণ, কামড়, আচড় এবং আরো বেশ কিছু কারণে পশু চিকিৎসকদের জীবন অনেকটাই ঝুঁকির ভেতরে পড়ে যায়।

দাঁতের ডাক্তার
দাঁতের ডাক্তারেরা সাধারনত দাঁত পরীক্ষা, রোগ নির্ণয় এবং সেটি নানারকম উপায়ে সারিয়ে তোলেন। তাদের আয়টাও নেহাত খারাপ নয়। তবে নানারকম সংক্রমণ, কাজের ধরন ও নিজের ভেতরে রোগ প্রবাহিত করার কারণে এটিকে দেওয়া হয় ৬৫.৪ স্কোর (ডেইলি মেইল)। এক্ষোত্রে তাদেরকে বসেও থাকতে হয় অনেকটা সময় আর রোগীদের কাছ থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া ও নানারকম সংক্রমণ খুব দ্রুতই ছড়িয়ে যায় তাদের ভেতরে।



মন্তব্য চালু নেই