যেসব কারণে প্রশংসিত অহল্যা (ভিডিও)
কাহানি-র পর সুজয় ঘোষের সাম্প্রতিক পরিচালনা অহল্যা। তবে কাহানি পূর্ণদৈর্ঘ্য হিন্দি সিনেমা হলেও, সুজয় ঘোষ এবার নির্মাণ করেছেন অহল্যা নামক বাংলা শর্টফিল্ম। সম্প্রতি অনলাইনে মুক্তি পেয়েছে অহল্যা।
রামায়ণের ঐতিহাসিক অহল্যা চরিত্রেরই নতুন ও আধুনিক ভঙ্গিমা তুলে ধরেছেন সুজয় ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে টালিউড, বলিউড সর্বস্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই শর্টফিল্ম। কিন্তু কেন? শর্ট ফিল্ম তো ভুরি ভুরি তৈরি হয়, তবে এই ছবিটি নিয়ে এত মাতামাতি কিসের? কেনই বা প্রশংসা কোড়াচ্ছে এই শর্টফিল্ম? অহল্যার আধুনিক পুননির্মান তো অবশ্যই একটা কারণ। তবে এর বাইরেও আরো কিছু কারণ রয়েছে। জেনে নিন যেসব কারণে প্রশংসিত অহল্যা।
* ছবির দৈর্ঘ্য: আড়াই তিন ঘণ্টার ফিল্মের ভিড়ে মাত্র ১৪ মিনিটের এই ফিল্মটি একেবারে সতেজ হাওয়া। খেতে খেতে, অফিসে কাজের ফাঁকে, কলেজে দুটো ক্লাসের ইন্টারভেলে যখন তখন দেখে নিতে পারবেন অহল্যা। কারণ সময় লাগবে মাত্র ১৪ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
* স্টার কাস্টে প্রাধান্য নয়: সুজয় ঘোষ এ ফিল্মে সেভাবে স্টারকাস্টে প্রাধান্য দেননি। এই শর্টফিল্মে মুখ্য চরিত্রে নেওয়া হয়েছে রাধিকা আপ্তে ও টোটা রায় চৌধুরিকে। টৌটা এখন অভিনয় কম করেন, কিন্তু এই ছবিতে তিনি ছোট অথচ সাবলীল যে পারফরম্যান্সটি দিয়েছেন তাতে সুজয় ঘোষ যে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা প্রমাণ। অন্যদিকে রাধিকা আপ্তে। অন্তহীন, বদলাপুর সিনেমায় অভিনয়ের দক্ষতা দেখালেও সে অর্থে তারকা অভিনেত্রী নন রাধিকা। কিন্তু অভিনয় দক্ষতা যে তার রয়েছে তা তিনি আরো একবার অনায়াসে প্রমান করলেন। এ ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় নিয়ে আলাদা করে বলার কিছুই নেই।
* সুজয়োচিত রহস্য: সুজয় ঘোষের নিজস্ব একটা স্টাইল রয়েছে। বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান অভিনীত কাহিনি সিনেমাতেও প্রথম দৃশ্য থেকে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত রহস্যময়তা বজায় রেখে গিয়েছিলেন সুজয়। এই শর্টফিল্মটিতে একই কায়দায় রহস্যের পরতে রহস্যে মুড়ে পেশ করেছেন তিনি। শেষ হয়েও যেন শেষ হয় না।
* অতিপ্রাকৃতিক উপাদান: এ শর্টফিল্ম যেন প্রাপ্তবয়স্কদের রূপকথার গল্প। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শুনলে হাসি পায়, মনে হয় যত সব আজগুবি কাণ্ড। কিন্তু দেখার সময় সেই ১৪ মিনিটে কেউ নিজের জায়গা ছেড়ে উঠতে পারবেন না।
* রামায়ণের চরিত্র ঘিরে: এই ছবির তিনটি চরিত্রই রামায়েণের থেকে নেওয়া। ঋষি গৌতম এখানে শিল্পী গৌতম সাধু। অহল্যা এখানে অপরিবর্তিত। দেবরাজ ইন্দ্র এখানে পুলিশ অফিসার ইন্দ্র সেন। আর রামায়ণ-মহাভারত পর্দায় আসুক বা বইয়ে, চিরকালই ‘বেস্টসেলার’। এগুলোর প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে না।
* যৌনতার রেশ কোনো অশ্লীলতা ছাড়াই: এই শর্টফিল্মটিতে যৌনতা গল্পের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও, কোথাও অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ দৃশ্যের ব্যবহার করা হয়নি, পুরুষকে প্রলুব্ধ করার জন্য মহিলার শরীরে খোলামেলা পোশাকও অশোভনীয় লাগেনি। অথচ পরিচালক যা বোঝাতে চেয়েছেন সেই বার্তা স্পষ্টভাবে পৌঁছিয়েছে দর্শকদের কাছে।
দেখুন: আলোচিত বাংলা শর্টফিল্ম অহল্যা
মন্তব্য চালু নেই