যেমন হওয়া উচিত ননদ-ভাবীর সম্পর্ক
বিয়ে হলে শুধুমাত্র স্বামীর সাথেই সম্পর্ক স্থাপন হয় না একটি মেয়ের। তার শ্বশুরবাড়ির সকলের সাথেই সম্পর্ক তৈরি হয়। শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ভাসুর, ননদ-জা সহ নানা নতুন সম্পর্কের মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। কিন্তু নিজের পরিবার ছেড়ে এসে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার না পেলে সে নিজেকে অনেক বেশি একা হয়ে পড়েন। শ্বশুর-শাশুড়ি গুরুজন বলে, দেবর-ভাসুর ছেলে বলে এবং জা সম্পর্কে বড় হয় বলে কারো সাথেই মন খুলে কথা বলতে পারেন না।
এর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক একজনের সাথেই গড়ে তোলা যায়। তা হচ্ছে ননদ। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ননদের সাথে ভাবীদের সম্পর্ক একেবারেই ভালো হয় না। এতে করে প্রভাব পড়ে সংসারের ওপরেও। তাই ননদ-ভাবীর সম্পর্ক হওয়া উচিত সহানুভূতির, সহমর্মিতার এবং বন্ধুত্বের।
১) একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন
একটি সংসারে কাজ কিন্তু খুব কম থাকে না। সেই সব কাজ ননদ ভাবী দুজনে মিলে করতে পারেন। আর যদি চাকুরীজীবী মহিলা হোন দুজনেই তাহলে তো আরও বেশি মিলেমিশে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।
২) একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করুন
কখন কার কি প্রয়োজন সে অনুযায়ী নিজেদের সুযোগ সুবিধা মতো গুছিয়ে নিন। দুজনের কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। শুধু নিজের কথা ভাববেন না ভাবী বা ননদের কথা মাথায় রেখেই কাজ করুন।
৩) অন্যবাড়ির মেয়ে ভাববেন না
ননদ-ভাবী দুজনেই দুটি আলাদা পরিবারের মেয়ে। কিন্তু তাদের থাকতে হচ্ছে একসাথে এবং একই পরিবারে এবং একটি সম্পর্কে। সেই সম্পর্কের কথা চিন্তা করুন। আরেক ঘরের মেয়ে বলে পর ভাববেন না একে অপরকে।
৪) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে ফেলুন
সংসারে কথা শেয়ার করার মতো মানুষ পেতে চাইলে দুজনেই দুজনের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করে ফেলুন। তাহলে সম্পর্ক সহজ হবে এবং একে অপরকে বুঝতে আরও বেশি সুবিধা হবে।
৫) দুজনেই দুজনের ভালো দিকটি দেখার চেষ্টা করুন
মানুষের ভালো খারাপ দুটো দিকই থাকে। আপনি তাকে কি চোখে দেখেন তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। খারাপ দিকটা না দেখে তাই ভালো দিকটা দেখার চেষ্টা করুন একে অপরের।
৬) ভুলত্রুটি ধরে নিয়ে বসে থাকবেন না
মানুষ ভুল করতেই পারে। কিন্তু তা ধরে নিয়ে বসে থাকলে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকবে। তাই ভুল ত্রুটি ধরে বসে থাকবেন না। একে অপরের দিকটা বুঝে ক্ষমা করে দেয়ার চেষ্টা করুন।
৭) একে অপরের সুযোগসুবিধার প্রতি নজর রাখুন
কাজ, মানসিক সাপোর্ট ইত্যাদিতে একে অপরকে সুবিধা দিলে সম্পর্কে অনেক ভালো হয়। এছাড়া একে অপরের প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়ালে পরিবারের বন্ধনও মজবুত হয়। তাই একে অপরের সুযোগ সুবিধা দেখতে ভুলবেন না।
সূত্রঃ ইন্ডিয়াটাইমস
মন্তব্য চালু নেই