যেভাবে সামলাবেন স্বামীর বান্ধবীকে
স্বামীর বান্ধবীকে কী করে সামলাবেন ভাবছেন? রয়েছে, রয়েছে, এরও উপায় রয়েছে৷ আর একবার যদি উপায়গুলো রপ্ত করে নিতে পারেন, তাহলে আপনাকে আর পায় কে? দেখবেন জীবন থেকে ইনসিকিউরিটি শব্দটাই সম্পূর্ণ উধাও হয়ে গিয়েছে৷স্বামীকে তো আর পুরনো বন্ধুবান্ধব, থুড়ি তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে মেলামেশা করা থেকে আটকাতে পারবেন না৷ এখন সবাই বন্ধুর যুগ৷মেয়েরাও তো ভালো বন্ধু হতে পারে৷ তাই মনে কোনো দ্বন্দ্ব থাকলে পাল্টান নিজেকে৷ফিল্ডে নেমে সামলান হাজবেন্ডের গার্লফ্রেন্ডদের
১. প্রথম যেদিন আপনার স্বামী, উড বি বা পার্টনারের মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবেন, চেষ্টা করুন নিজেকে একদম স্বাভাবিক রাখতে৷আপনি ঈর্ষান্বিত এটা মেয়েটি বুঝতে পারলেই কিন্তু তার মনে একটা নেগেটিভ ইম্প্রেশন তৈরি হবে৷তবে হতেও তো পারে সে আপনার বরের নিছকই বন্ধু, ভবিষ্যতে হয়েতা আপনারও ভালো বন্ধু হয়ে উঠবে৷আপনি হয়তো মিছিমিছিই মেয়েটিকে সন্দেহ করছিলেন৷
২. আচ্ছা আপনি নিজেকে কি কখনও প্রশ্ন করেছেন অন্য মেয়েব ন্ধুর জন্য আপনার স্বামী আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে বলেই আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন? উত্তরটা যদি হ্যাঁ হয়, তবে আজই ত্যাগ করুন এই মানসিকতা৷বরং নিজের রাগকে বাড়ানোর বদলে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে তার মানসিকতা বুঝে পুরোটা যাচাই করে নিতে চেষ্টা করুন৷ আর ভুলেও আস্থা হারাবেন না স্বামীর ওপর৷অবিশ্বাস ঢুকলে সম্পর্ক শেষ হতে বাধ্য৷
৩. আপনার স্বামীর প্রিয় বান্ধবীকে বাড়িতে একদিন ডিনারে ডাকতে পারেন৷ তার প্রেমিক পুরুষটিকে সঙ্গে ডাকতে পারেল তো আরও ভালো৷ এতে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ অনেকটাই কমে যাবে৷ বরের বান্ধবীও আপনার সঙ্গে সহজ হয়ে উঠবে৷
৪. তবে বান্ধবীটির যদি ফ্লার্ট করার অভ্যেস থাকে, তাহলে আপনার পক্ষে তাকে সামলানো একটু মুশকিল হবে বই কী! সে রাত্রে বা অসময়ে আপনার বরকে ফোন বা এসএমএস-ও করতে পারে৷ তাতে অবশ্য আপনার বিরক্ত হওয়া স্বাভাবিক৷সেক্ষেত্রে বন্ধুত্বের সীমারেখা কতদূর রাখা হবে, তা ঠিক করতে হবে আপনার স্বামীকেই৷ এমনকী কৌশলে বারণ করে দিতে হবে তার বান্ধবীকেও যে যখন-তখন এভাবে যোগাযোগ করা ঠিক নয়৷
৫. বরের মোবাইল ঘাঁটতে গিয়ে তার গার্লফ্রেন্ডের মেসেজ বা কললিস্ট দেখে আপনার মনে দানা বাঁধতে পারে সন্দেহ৷নিজের মনে মনে কোনো আকাশকুসুম খারাপ ধারণা করার আগে বরের সঙ্গে ধীরে সুস্থে বসে কথা বলুন৷তাতে কেটে যেতে পারে আপনার ভ্রান্ত ধারণা৷
৬. আপনার স্বামী যদি সেই মেয়ে বন্ধুটিকে অন্যান্য বন্ধুদের মতোই দেখেন, তাহেল আপনার চিন্তার কোনো কারণ নেই৷হ্যাঁ কোনো চিন্তার কারণ নেই৷ মেয়েটি অপরূপা সুন্দরী বা অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলেও আপনার হারাবার কিছু নেই৷আপনার স্বামীর আচরণে যদি সন্দেহজনক কিছু না থাকে, তাহলে আপনারও মনে অযথা সন্দেহ পুষে রাখার কোনো মানে হয় না৷
৭. কোনো কিছুতেই যদি নিজের মনকে শান্ত করতে না পরেন, তাহলে পুরোটাই এড়িয়ে যান৷ আমাদের জীবনে তো কত ঘটনাই ঘটে, সব কিছু তো আমরা মনে রাখি না৷ ঠিক সেরকমভাবে এই ঘটনাটাকেও আমরা পাশে সরিয়ে রাখতে পারি৷অযথা সারাদিন সন্দেহ করে নিজের সময় নষ্ট করলে একসময় দেখবেন আপনার নিজের চোখেই আপনি ছোট হয়ে গিয়েছেন৷ তাই আপনার হাতে যতটুকু রয়েছে, শুধু ততটুকু নিয়েই ভাবুন।
মন্তব্য চালু নেই