যেভাবে ভারতের সোনাগাছি পতিতাপল্লীতে বিক্রি হয় বাংলাদেশি মুন্নি
একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় পৌঁছে গিয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের কলকাতার সোনাগাছি পতিতাপল্লীর নাম। একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ওই তথ্যচিত্রটি সোনাগাছির যৌনকর্মী মুন্নির জবানবন্দি থেকে তৈরি হয়েছিল।
তথ্যচিত্রটির জন্য দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুন্নি জানিয়েছেন, তার সোনাগাছি জীবনের অভিজ্ঞতার কথা। তিনি কীভাবে এখানে এসে পৌঁছেছেন সেসব কথা।
মুন্নি বাংলাদেশের মেয়ে। মাত্র ১০ বছর বয়সে তাকে সোনাগাছিতে নিয়ে আসা হয়। তিনি পতিতাপল্লীর এক নারী সর্দারের কাছে এসে ওঠেন; তিনিই মুন্নির ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেন। এর বিনিময়ে মুন্নি বাধ্য হয় যৌন পেশায় নাম লেখাতে। মুন্নি বলেন, তাকে রাজপুত্রের মত দেখতে একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় এবং শহরে নিয়ে এসে সোনাগাছিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
মুন্নি আরো বলেন, সোনাগাছিতেও এখন মারাত্মক পেশাদারি প্রতিযোগিতা। অনেক মেয়ে এসে হাজির হচ্ছে এশিয়ার এই বৃহত্তম ও অন্যতম প্রাচীন রেডলাইট এরিয়ায়। যৌন পেশায় রোজগার করা এখন রীতিমতো কঠিন। তার মতে, সব পেশার মানুষই সোনাগাছিতে আসে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কলেজছাত্র, উকিল, ট্যাক্সিচালক, বিবাহিত পুরুষরাই ভিড় জমায় এখানে।
মন্তব্য চালু নেই