যেভাবে বুঝবেন আপনি মোবাইল ফোনে আসক্ত
স্মার্টফোনে অতি আসক্তি এক ধরণের রোগ। যাঁরা মোবাইল হাতে না থাকলে অস্থির হয়ে যান, বিজ্ঞানীরা বলছেন তাঁরা নোমোফোবিয়া রোগে আক্রান্ত। জেনে নিন এ রোগের কিছু লক্ষণ।
ব্যাটারির চার্জ ফুরালেই আতঙ্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কিছু মানুষের মধ্যে স্মার্টফোনের আসক্তির এমন তীব্রতা লক্ষ্য করেছেন যা রীতিমতো বিস্ময়কর। তাঁরা দেখেছেন, কিছু লোক মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, যেন মোবাইল বন্ধ হয়ে গেলে জীবনই অচল। এমন হলে বুঝতে হবে আপনিও নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বা অচিরেই হবেন।
ইন্টারনেট-নির্ভরতা :
কিছু লোক ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে নারাজ। স্মার্টফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জানলেই ওয়াই-ফাই জোন-এ যাওয়ার জন্য তাঁরা হা-হুতাশ শুরু করেন। এমন সবারও মোবাইল আসক্তি বাড়তে বাড়তে নোমোফোবিয়ার সীমা ছুঁয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়৷
ইন্টারনেট থাকতেই হবে :
কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে সবার আগে কী কী জানতে চান? ‘ওখানে ইন্টারনেট আছে?এই প্রশ্ন করেন? যদি মনে হয়, যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানে বেড়াতে যাওয়া একদম উচিত নয়, তাহলে ‘নোমোফোবিয়া’ আপনাকেও গ্রাস করছে৷
স্ট্যাটাস না দিতে পারলে হতাশ :
ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে প্রতিদিন ‘স্ট্যাটাস’ না লিখলেও অনেকের একদমই চলে না। মনে হয়, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করা হয়নি। এমন হওয়াটাও খারাপ কথা, তখন বুঝতে হবে ‘নোমোফোবিয়া’ আপনাকেও পেয়েছে।
রিচার্জ করাতে পারেননি :
প্রি-পেইড সিম ব্যবহার করেন এমন অনেকে ফোনের ‘ক্রেডিট’ শেষ হলে, অর্থাৎ ফোন বা এসএমএস করার উপায় না থাকলেই মহাদুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তখন মনে রাখতে হবে, মোবাইল ফোন ছাড়া এক সময় পৃথিবীর সবারই জীবন চলতো, এ যুগেও কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকটা দিন নিশ্চয়ই চলবে।
আরেক সর্বনাশ :
ধরুন ফোন করতে পারছেন না এসএমএস-ও না, ফোন বা এসএমএস আসছেনওনা আপনার কাছে। কী হয় তখন? স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও খুব অসহায় লাগে? তাহলে আপনাকে নিয়েও চিন্তা আছে।
ঘুমের সময় অন্তত অন্য কিছু ভাবুন:
স্মার্টফোনে মানুষ এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যে কারো কারো রাতে মোবাইল ফোনে একটা হাত না রাখলে ঠিকমতো ঘুমই হয় না। নোমোফোবিয়ার চূড়ান্ত লক্ষণ এটা। সুতরাং এই অভ্যাস ছাড়ুন।
মন্তব্য চালু নেই