যেভাবে বানাবেন আকর্ষণীয় জীবন বৃত্তান্ত
ভালো কোনো কোম্পনি বা সংস্থাতে কাজ করতে চাইলে জীবনবৃত্তান্ত হতে হবে আকর্ষণীয়। এমনভাবে আপনাকে জীবনবৃত্তান্ত বানাতে হবে যাতে চাকরিদাতা সন্তুষ্ট হন আপনার প্রতি। জীবনবৃত্তান্তের ওপর চোখ বুলিয়ে তিনি যেন আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে সহজে ধারণা করতে পারেন।
জেসিকা পয়েন্টিং, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি এ পর্যন্ত গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক, ম্যাককিনসে, বেইন, গোল্ডম্যান স্যাক ও মরগান স্ট্যানলির মত বড় বড় কোম্পানি থেকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি বিজনেস ইনসাইডার ম্যাগাজিনকে জানান কীভাবে চাকরিদাতাদের কাছে আকর্ষণীয় জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করবেন।
শুধুমাত্র অতীত অভিজ্ঞতা নয় : আমরা সাধারণত আমাদের জীবনবৃত্তান্তে অতীতের কাজের অভিজ্ঞতার তালিকা তুলে ধরি। কিন্তু আগের কর্মক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব্ কি কি ছিল তার সম্পূর্ণ বর্ণনা দেই না। আপনাকে জীবনবৃত্তান্তে আগের কর্মক্ষেত্রের দায়িত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি কোম্পানি আপনার কাছ থেকে কী কী উপকার পেয়েছে তা তুলে ধরতে হবে।
সংখ্যা তুলে ধরতে হবে : জীবনবৃত্তান্তে যদি আপনার অর্জন সংখ্যায় তুলে ধরা যায় তবে চাকরিদাতার কাছে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। যেমন আগের কোম্পানিতে আপনি তাদের দশ হাজার টাকা বাঁচিয়ে থাকেন তবে সে সংখ্যা তুলে ধরতে হবে। সবসময় বাস্তবসম্মত ও গণনার যোগ্য তথ্য তুলে ধরবেন।
অতিরিক্ত কোনো তথ্য নয় : জীবনবৃত্তান্তে এমন কিছু তুলে ধরবেন না যে সম্পর্কে ইন্টারভিউ বোর্ডে বলতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। যেমন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতায় আপনার পড়শোনার বিষয় উল্লেখের পাশাপাশি কোর্সের নাম উল্লেখ করে দিলেন।
পয়েন্টিং বলেন, আমি আমার জীবনবৃত্তান্তে জীববিজ্ঞানের সব কোর্সের নাম উল্লেখ করে দেই। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডে চাকরিদাতারা যখন জীববিজ্ঞানের ওপর এমন প্রশ্ন করেন যা সেসময় আমি বলতে পারিনি। কারণ দুই বছর আগে পড়া সে কোর্স সম্পর্কে সবকিছু ভুলে গিয়েছিলাম।
মন্তব্য চালু নেই