যেভাবে নেশা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন
কথায় বলে কোনো কিছুকেই নেশা হিসেবে নেওয়া উচিৎ না। কিন্তু আপনি যখন নেশাকেই জীবনের সঙ্গী করে নেন তখন আর কিছুই বাকি থাকে না। তারপরও আমরা এই নেশার পৃথিবীতে ঢুকতে থাকি অল্প অল্প করে। নিজেদের অজান্তেই হয়তো কোনো বন্ধু বা খারাপ সঙ্গের মধ্য পড়ে নিজেকে এই জগতে নিয়ে যাই। কিন্তু আপনার মাঝে যদি একফোঁটাও ভালো হওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে তাই যথেষ্ট আপনাকে এই নেশার জাল ছিড়ে বের করে আনতে।
আপনার দুর্বলতা খুঁজে বের করুন
আপনার প্রথম এবং নিজের থেকে নেওয়া পদ্দক্ষেপ হবে আপনার সমস্যা কোথায়? কোন জিনিসটি আপনাকে নেশার দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে? সেটার শুরু হতে পারে সিগারেট। এর পরেই যদি আপনি অন্যান্য মাদকদ্রবের দিকে ঝোঁকেন তবে এর থেকে দূরে থাকুন। যেসব বন্ধু সিগারেট খেয়ে থাকে তাদের ছেড়ে অন্য জায়গায় বন্ধুমহল তৈরি করুন।
নেশা আপনার জন্য আসলে কী?
আপনার কাছে নেশা কী তা আগে খুঁজে বের করুন। তা কী আপনার পরিবারের থেকেও বড়? আপনার প্রিয় মানুষটির কথা ভাবুন, পরিবারের কথা ভাবুন। দেখবেন নেশা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা শক্তি আরো দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। আপনার জীবনে নেশা যে কিছুই না তা আপনার নিজেকে আপনি নিজে বুঝান।
না বলা শুরু করুন
না বলতে পাড়া অনেক বড় ব্যাপার। আপনি প্রথমে তা চা, সিগারেট দিয়ে শুরু করতে পারেন। একবারে আপনি কখনো তা ছেড়ে দিতে পারবেন না। তাই বন্ধুদের সাথে থাকলে কেউ খেতে বললে তাকে ভনিতা করে না বলে সরাসরি না বলুন। আপনার নেশা ছেড়ে দেওয়ার কথা তাদের বলুন। আর আপনাকে তাদের সাথে নেশা বা সিগারেট খেতে ডেকে নিতে মানা করুন, কিন্তু তা আপনার মতো করে বুঝিয়ে। রেগে কোনোরূপ কথা না বলাই এই ক্ষেত্রে ভালো।
ভেঙ্গে না পড়া
নেশা ত্যাগ করতে চাওয়াই অনেক বড় পদ্দক্ষেপ। আর এই নেশা ছাড়তেও আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে অনেকদিন। দীর্ঘ একটা সময় আপনাকে ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। সবাই হয়তো আপনার পাশে নাও থাকতে পারে। আপনি এক কিংবা দুবার এরই মাঝে নেশা করেও ফেলতে পারেন, কিন্তু এতে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না । আবারো শুরু করুন। ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখুন কতদিন ধরে করছেন না। দেখবেন এটি আপনাকে অনুপ্রাণিত করছে।
মন্তব্য চালু নেই