যেখানে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রকৃতিকে উপভোগ করেন পর্যটকরা

শরতের হাওয়া গায়ে লাগতেই বাঙালির যাযাবর মনটা ফুরফুরে হয়ে ওঠে৷ থিমে ভরা পুজোর মধ্যেই বেড়ানোর প্ল্যান-প্রোগ্রামও সারা হয়ে যায়৷ সমুদ্র-জঙ্গল-পাহাড়, কোনওটাই বাদ পড়ে না ভ্রমণরসিক বাঙালির তালিকা থেকে৷ ইদানীং এই তালিকায় উপরের সারিতে উঠে এসেছে সিকিমের শান্ত পাহাড়ি এলাকা আরিতর৷

কী দেখবেন

১. আরিতরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এখানকার শান্ত-সুন্দর লেক৷ লেকের আকৃতি অনেকটা পায়ের বুটের মতো৷ সেই কারণেই এর নাম ‘লামপোখরি’৷

২. নিবিড় অরণ্যে ঘেরা ‘লামপোখরি’র চারপাশ৷ লেকের জলে প্যাডেল বোটের ব্যবস্থা রয়েছে৷

৩. পাশেই রয়েছে সুন্দর ক্যাফেটেরিয়া৷ যেখানে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রকৃতিকে উপভোগ করেন পর্যটকরা৷

৪. কাছেই আরিতর মনেস্ট্রি৷ শান্তির এই আশ্রয়ে সময় ভালই কাটবে৷ দেখতে পাবেন পৌরাণিক পান্ডুলিপি, বৌদ্ধ ভাস্কর্য৷

৫. পাশেই রয়েছে বিখ্যাত ‘আরি-বাংলা’৷ ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই বাংলো সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেছে সিকিম প্রশাসন৷

কীভাবে যাবেন

আরিতর যাওয়ার সেরা উপায় বাগডোগরা বিমানবন্দর৷ সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় এই পাহাড়ি গ্রামে৷ যাওয়া যায় নিউ জলপাইগুড়ি কিংবা শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করেও৷

কোথায় থাকবেন

থাকার জন্য হোটেল কিংবা রিসর্টের অভাব হবে না আরিতরে৷ তবে ১২০ বছরের পুরনো আরি-বাংলোতে থাকার সুযোগ পেলে না ছাড়াই ভাল৷-সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই