যেকারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টকদই
স্বাদের দিক থেকে দই পছন্দের তালিকায় থাকলেও টকদই থাকে পিছিয়ে। অথচ টকদই আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী। যে কোনো অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের পরিবর্তে সকালে নাস্তার পর এবং বিকেলের নাস্তায় টকদই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু কি সে উপকার, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কেনই বা রাখবো টকদই? আসুন জেনে নেয়া যাক।
* টকদই দেহে ক্ষতিকর টক্সিন জমতে বাধা দেয় এবং অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে। অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
* টকদইয়ের আমিষ দুধের চাইতে সহজে ও কম সময়ে হজম হয়ে যায়। যাদের দুধ হজমে সমস্যা দুধের পরিবর্তে অনায়েসে টকদই খেতে পারেন।
* নিয়মিত টকদই খেলে ডায়বেটিস ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় খুব সহজেই।
* যারা ওজন কমাতে চান তারা নিজেদের ডায়েট প্ল্যানে যোগ করে নিতে পারেন কম ফ্যাটযুক্ত এই টকদই। দ্রুত ওজন কমাতে এর জুড়ি নেই।
* টকদই হজমে সহায়তা করে। টকদইয়ের এনজাইম বদহজম প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* টকদইয়ে ফ্যাট কম থাকে, এতে করে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ‘এলডিএল’ কমাতে সাহায্য করে।
* টকদই রক্ত শোধন করতে সহায়তা করে।
* টকদইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
* নিয়মিত টকদই খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর হয়। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন তারা নিয়মিত টকদই খেয়ে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
* টকদইয়ের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ আমাদের হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। নানা ধরণের সমস্যাও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মন্তব্য চালু নেই