যুক্তরাষ্ট্রের নিজ দেশ নিয়ে নাক গলানো উচিত : আ.লীগ

বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনকে ‌‘অনভিপ্রেত’বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা বলছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে নয়, বরং দেশটির নিজেদের নিয়েই নাক গলানো উচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশজুড়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের উদ্দেশ্যে সরকার তার নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত অভিযান, নির্বিচারে আটক ও অন্যান্য আইনি অভিযানের সময় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এর মধ্যে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও এনকাউন্টার অন্যতম।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের প্রথম নয় মাসে ১৫০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে র‌্যাবের হাতে ৩৪ জন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে ১১, বিজিবির হাতে একজন, সোয়াট অপারেশনে ৩ ও পুলিশের হাতে ৬১ জন মারা যায়। শুধু নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নয়, রাজনৈতিক দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের হাতেও মৃত্যু হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ২০৯। জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জন ও অন্যান্য কারণে ৩১ জন।

গুম ও অপহরণের একাধিক ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এর মধ্যে কিছু গুম নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হয়েছে। সরকার এক্ষেত্রে যথাযথ তদন্তের ব্যবস্থাও করেনি বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি করবে, তা তারাই জানে। একটি স্বাধীন দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে অন্য দেশের নাক গলানো উচিত নয় বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটি ভালো করে জানে যে, তাদের কি করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য দেশের নাক না গলানোই ভাল। তাদের উচিত নিজেদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নাক গলানো। আমরা তো তাদের দেশ নিয়ে নাক গলাই না।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, একটি স্বাধীন দেশে জনস্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলার কোন সুযোগ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে আহমদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরণের অযাচিত বক্তব্য আসলেই ‘অনভিপ্রেত’।



মন্তব্য চালু নেই