যার রসে ১ সেকেন্ডে ত্বকের রঙ হবে পরিবর্তন!
আমরা সবাই সুন্দর ও কোমল ত্বকের অধিকারী হতে চাই। এ জন্য ত্বকে কতো কিছুই না ব্যবহার করি। কসমেটিক থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক উপাদান সবকিছুই থাকে এর মধ্যে। কারণ ত্বক আমাদের দেহের সর্ববৃহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা আমাদের বাহ্যিক পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে।
আর ত্বকচর্চার উপকরণের নাম এলে সবার আগে আমরা হলুদের কথাই বলবো। কারণ রূপচর্চায় কম-বেশি আমরা সবাই হলুদ ব্যবহার করে থাকি। এর ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল, তারুণ্যদীপ্ত ও উজ্জ্বল।
বিশেষজ্ঞের মতে, হলুদ ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। হলুদে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণ। এটি রং ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে, ব্রণ প্রতিরোধ করে, বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধ করে। কারকিউমিন ত্বককে পাতলা করতে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া, হোয়াইট হেড, ব্ল্যাক হেড দূর করে।
হলুদ ত্বকের বাইরে থেকে মাখলে যে উপকার পাওয়া যায়। হলুদ খেলে শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়, ত্বক ফর্সা হয়। তাহলে আসুন জেনে নিই হলুদ কীভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে, এবং এক সেকেন্ডের মধ্যে কেমন করে ত্বকের রঙ পরিবর্তন করে?
* রোদে পুড়ে রঙ কালো হয়ে গেলে সামান্য দুর্বা ঘাস, কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে দুধের সর মিশিয়ে লাগালে মুখ, গলা, ঘাড়, হাতের কালো ছোপ দূর হয়।
* হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস অথবা কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
* স্বাভাবিক ত্বকে কাঁচা হলুদের পেস্ট, গাদাফুলের পাপড়ির পেস্ট ও ঘৃতকুমারীর শাঁস সমপরিমাণ মিশিয়ে মিশ্রণটি ১৫ মিনিট মুখে লাগান। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* তৈলাক্ত ত্বকে কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে মেখে এক চামচ লেবুর খোসা বাটা মেশান। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন।
* শুষ্ক ত্বকেও হলুদ কাজ করে জাদুর মতো। কাঁচা হলুদের পেস্ট দুই চামচ, ডিমের কুসুম একটি ও চালের গুঁড়া দুই চামচ একসঙ্গে মিশ্রণ করে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
* মিশ্র ত্বকে এক চামচ কাঁচা হলুদ, দুই চামচ তুলসী পাতা, দুই চামচ পুদিনা পাতা একসঙ্গে পেস্ট করে এক চামচ জবের গুঁড়া মিশিয়ে ওই মিশ্রণটি ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
মন্তব্য চালু নেই