যশোরে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি ক্যান্টমেন্ট কলেজের শিক্ষকসহ দু’জনকে জেলজরিমানা

যশোরে অনার্স পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এক শিক্ষক ও এমএলএসএসকে জেলজরিমানা প্রদান করেছে একটি ভ্রাম্যমান আদালত। দল্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আটক যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আকবর আহমেদ ও একই কলেজের এমএলএসএস রইসুল ইসলাম। এর মধ্যে আকবর আহমেদকে ২ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এমএলএলএস রইসুল ইসলামকে ১ বছরের কারদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) জাহিদ হোসেন জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের আবশ্যিক ইংরেজি বিষয়ে পাশ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক ছাত্রের কাছে মোবাইলে ফোন করেন আকবর আহমেদ। ইংরেজি পরীক্ষার একটি প্রশ্ন ছিল জীবনবৃত্তান্ত লেখা। ওই প্রশ্নের উত্তরে যোগাযোগের স্থানে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মোবাইল ফোনের নম্বর দিয়েছিলেন। ওই নম্বর দেখে ফোন করেছিলেন আকবর।
ফোন পাওয়া ছাত্রদের একজন অনিন্দ্য সেন জানান, তারা যশোর সরকারি এমএম কলেজের চার সহপাঠী এ ফোন পেয়ে অধ্যক্ষ ইবাদুল হককে জানান। অধ্যক্ষ বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমানকে জানালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবহিত করে প্রতারক শিক্ষককে আটকের ব্যবস্থা নেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ হোসেন আরও জানান, শুক্রবার বিকেলে ওই শিক্ষক ছাত্রদের সময় দেন টাকাসহ উপশহরে শিশু হাসপাতালের সামনে তার সাথে দেখা করার। এসময় কৌশলে দুই ছাত্রের সাথে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালাম ও মাসুদ উল আলম এবং সাদা পোশাকের পুলিশ দেয়া হয়। শিক্ষক আকবার এমএলএসএস রইসুল ইসলামকে পাঠান ওই ছাত্রদের নেয়ার জন্য। পুলিশ প্রথমে রইসুলকে দুইটি উত্তরপত্রসহ আটক করে। এরপর তার স্বীকারোক্তিতে শহরের আরবপুরের বাসা থেকে প্রভাষক আকবারকে আটক করা হয়। আকবর আহমেদ বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর চুলকাঠিবাজারের ইশারত আলীর ছেলে। তিনি যশোর শহরের আরবপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আকবর আহমেদ বলেন, উত্তরপত্রে একছাত্রের আকুতি দেখে মাথার ভিতর শয়তান ঢুকেছিল। ওই ছাত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে উত্তরপত্রে উল্লেখ করে এবং পাশ করিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। তাই খাতায় দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন করি। এবং ২০ হাজার টাকা দাবি করি।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালাম জানান, উত্তর পত্রে ওই ধরণের কিছুই পাওয়া যায়নি। ধার পড়ে ওই শিক্ষক মিথ্যা কথা বলেছেন। একই কথা বলেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম। তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয় এবং গত ১১ জুন কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়। আদালতের কাছে তারা দোষি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের শুক্রবার রাতে সাজা দিয়ে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট সোহেল হাসান জানিয়েছেন, শিক্ষক আকবরকে আটকের সময় লেনদেন করা ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। থানার এসআই শোয়েব উদ্দিন আহমেদ ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে একটি অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার সাজা দেয়া হয়েছে।যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ বোরহানুস সুলতানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
যশোরে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি
ক্যান্টমেন্ট কলেজের শিক্ষকসহ দু’জনকে জেলজরিমানা
যশোর অফিস: যশোরে অনার্স পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এক শিক্ষক ও এমএলএসএসকে জেলজরিমানা প্রদান করেছে একটি ভ্রাম্যমান আদালত। দল্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আটক যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আকবর আহমেদ ও একই কলেজের এমএলএসএস রইসুল ইসলাম। এর মধ্যে আকবর আহমেদকে ২ বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এমএলএলএস রইসুল ইসলামকে ১ বছরের কারদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) জাহিদ হোসেন জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের আবশ্যিক ইংরেজি বিষয়ে পাশ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক ছাত্রের কাছে মোবাইলে ফোন করেন আকবর আহমেদ। ইংরেজি পরীক্ষার একটি প্রশ্ন ছিল জীবনবৃত্তান্ত লেখা। ওই প্রশ্নের উত্তরে যোগাযোগের স্থানে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মোবাইল ফোনের নম্বর দিয়েছিলেন। ওই নম্বর দেখে ফোন করেছিলেন আকবর।
ফোন পাওয়া ছাত্রদের একজন অনিন্দ্য সেন জানান, তারা যশোর সরকারি এমএম কলেজের চার সহপাঠী এ ফোন পেয়ে অধ্যক্ষ ইবাদুল হককে জানান। অধ্যক্ষ বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমানকে জানালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবহিত করে প্রতারক শিক্ষককে আটকের ব্যবস্থা নেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ হোসেন আরও জানান, শুক্রবার বিকেলে ওই শিক্ষক ছাত্রদের সময় দেন টাকাসহ উপশহরে শিশু হাসপাতালের সামনে তার সাথে দেখা করার। এসময় কৌশলে দুই ছাত্রের সাথে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালাম ও মাসুদ উল আলম এবং সাদা পোশাকের পুলিশ দেয়া হয়। শিক্ষক আকবার এমএলএসএস রইসুল ইসলামকে পাঠান ওই ছাত্রদের নেয়ার জন্য। পুলিশ প্রথমে রইসুলকে দুইটি উত্তরপত্রসহ আটক করে। এরপর তার স্বীকারোক্তিতে শহরের আরবপুরের বাসা থেকে প্রভাষক আকবারকে আটক করা হয়। আকবর আহমেদ বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর চুলকাঠিবাজারের ইশারত আলীর ছেলে। তিনি যশোর শহরের আরবপুর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আকবর আহমেদ বলেন, উত্তরপত্রে একছাত্রের আকুতি দেখে মাথার ভিতর শয়তান ঢুকেছিল। ওই ছাত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে উত্তরপত্রে উল্লেখ করে এবং পাশ করিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানায়। তাই খাতায় দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন করি। এবং ২০ হাজার টাকা দাবি করি।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালাম জানান, উত্তর পত্রে ওই ধরণের কিছুই পাওয়া যায়নি। ধার পড়ে ওই শিক্ষক মিথ্যা কথা বলেছেন। একই কথা বলেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম। তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হয় এবং গত ১১ জুন কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়। আদালতের কাছে তারা দোষি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের শুক্রবার রাতে সাজা দিয়ে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট সোহেল হাসান জানিয়েছেন, শিক্ষক আকবরকে আটকের সময় লেনদেন করা ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। থানার এসআই শোয়েব উদ্দিন আহমেদ ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে একটি অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার সাজা দেয়া হয়েছে।যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ বোরহানুস সুলতানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই