যশোরের কিছু খবর :

যশোরে দৈনিক রানার সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম আর নেই

যশোরের দৈনিক রানার সম্পাদক আর এম মঞ্জুরুল আলম টুটুল আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ………. রাজিউন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওয়াপাড়া থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। আর এম মঞ্জুরুল আলম টুটুলের মৃত্যুতে প্রেসক্লাব যশোর চার দিনের কর্মসূচী ঘোষনা করেছে। মঞ্জুরুল আলম ব্যবসায়িক সূত্রে বছরাধিককাল যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার কাছে একতারপুরে বসবাস করতেন।

বন্ধু আজম খান টুলু জানান বুধবার সকাল আটটার দিকে নাস্তা করার পর টুটুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।এ সময় টুটুলকে নওয়াপাড়ার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানকার ডাক্তাররা টুটুলকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন।হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, যশোরের সাবেক এমপি খালেদুর রহমান টিটো, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের স্ত্রী দৈনিক লোকসমাজের সম্পাদক নার্গিস ইসলামসহ বিভিন্ন সাংবাদিক নেতা, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তি, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোক ছুটে যান দৈনিক রানার অফিসে। মঞ্জুরুল আলম টুটুল শহীদ সাংবাদিক গোলাম মাজেদের তৃতীয় ছেলে ও শহীদ সাংবাদিক আর এম সাইফুল আলম মুকুলের ভাই। দুঃসাহসী লেখালেখির কারণে গোলাম মাজেদ স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে ১৯৮৪ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন। গোলাম মাজেদের মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে আর এম সাইফুল আলম মুকুল ওই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ বরে। ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে নিজ অফিসের কাছে দুর্বৃত্তদের বোমা ও গুলিতে নিহত হন সাইফুল আলম মুকুল।

এরপর পত্রিকাটির হাল ধরেন আর এম মঞ্জুরুল আলম টুটুল। ২০০৪-০৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক রানার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দাপটশালী পত্রিকা হিসেবে টিকে ছিল। পত্রিকা সম্পাদনায় দক্ষতার পরিচয় দেন মঞ্জুরুল আলম টুটুল। তিনি বিভিন্ন সময় প্রেস ক্লাব যশোরের সহ-সভাপতি ও কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সময় ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। এর আগে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও তিনি সুনাম কুড়ান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সঙ্গীতচর্চা করে গেছেন। খুলনা বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।

দুপুর দুইটায় সাংবাদিকসহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রেসক্লাব যশোর চত্বরে আনা হয়। প্রেসক্লাব যশোর, বিএফ ইউজে, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদ, যশোর ফটো জানার্লিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, যশোর সংবাদপত্র হর্কাস ইউনিয়ন, দৈনিক সমাজের কাগজ, দৈনিক লোকসমাজ, দৈনিক কল্যাণ, দৈনিক গ্রামের কাগজ, দৈনিক স্পন্দন, দৈনিক সমাজের কথা, দৈনিক প্রজন্মের ভাবনা, দৈনিক নারীকণ্ঠ, সাপ্তাহিক সোনালী দিন, সাপ্তাহিক রোববার, অনলাইন দ্যা রিপোট, দৈনিক রানারের সাবেক সাংবাদিকবৃন্দ,যশোর জেলা আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যশোর ইন্সটিটিউট, যশোর সুরধুনী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী যশোর, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), যশোর ফ্লিম সোসাইটি, যশোর ট্রেড ইউনিয়ন, জনউদ্যোগ, ক্যাফে প্রেসক্লাব, স্পন্দন সাংষ্কৃতিক জোট, কালেরকন্ঠ শুভ সংঘ, উপশহর ডিগ্রি কলেজ, যশোর কম্পিউটার সমিতি, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, যশোর পৌরসভার নেতবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ এশা যশোর বেজপাড়ার তালতলা জামে মসজিদের সামনে জানাজা শেষে বেজপাড়া কবরস্থানে পিতা শহীদ গোলাম মাজেদ, ভাই আর এম সাইফুল আলম মুকলের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এদিকে, আর এম সাইফুল আলম মুকুলের মৃত্যুতে প্রেসক্লাব যশোর চারদিনের কর্মসূচী গ্রহন করেছে। গৃহিত কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে কালো ব্যাজ ধারণ, শোকবই স্বাক্ষর এবং রোববার সকালে দোয়া মাহফিল।

এদিকে মঞ্জুরুল আলম টুটুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এস,এম তৌহিদুর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর সভাপতি নূর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এম আইউব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিমন খান, সম্পাদক সাকিরুল কবির রিটন প্রমূখ। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন-যশোর ডিএফএ এর আসাদুজ্জামান মিঠু, অজিজুল ইসলাম শুকুর, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মঈন স্মৃতি সংসদের আবু মুসা মধু, সিরাজুল ইসলাম মনি, অগ্নিবীনা চক্রর মফিজুর রহমান ডাবলু, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো: সামসুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, ডলফিন সুইমিং ক্লাবের আব্দুল মান্নান, যশোর ক্রিকেট ক্লাবের মকসেদ শফি, শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমীর সামসুল বারি শিমুল, জাগপার নিজামউদ্দিন অমিত, যশোর মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের আহবায়ক বিশিষ্ট কলামিস্ট আমিরুল ইসলাম রন্টু, যশোরের সাংবাদিক সংগঠনগুলো নেতৃবৃন্দসহ রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেতারা।

 

যশোরে আট ডাকাত সদস্য আটক ট্রাকসহ বোমা,ধারালো অস্ত্র,উদ্ধার
যশোর কোতয়লি পুলিশ যশোর নড়াইল সড়কে অভিযান চালায়। এ সময় আট ডাকাতকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ট্রাকসহ বোমা,ধারালো অস্ত্র,উদ্ধার করে। আটককৃতরা হচ্ছে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলা বইটা খোলা গ্রামের নইমডিদ্দন শেখের পুত্র রইচ শেখ,নগর কান্দা উপজেলার শাহিদ নগর কুদাটিয়া গ্রামের নান্নু মিয়ার পুত্র হাফিজ মিয়া,সাদিপুর গ্রামের সামাদ সরদারের পুত্র ফজল সর্দার,সিগরাম পুর গ্রামের ছানু শেখের পুত্র ফুয়জা শেখ, সাদিপুর গ্রামের ইউনুছ শেখের পুত্র মতিউর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা খোকশা উপজেলা দেবী নগর গ্রামের কেয়ামদ্দিন শেখের পুত্র রবিউল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা শিবগাতি গ্রামের বালা কাজী ওরফে গাজীর পুত্র মিরাজ কাজী ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার শিবগাতি গ্রামের কুটিমিয়া খানের পুত্র বিলায়েত হোসেন খান।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক পৌনে ১২ টারদিকে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা একটি ট্রাক যার নাম্বর (ফরিদপুর ট-১১-০২১২) ফরিদপুর থেকে যশোর নড়াইল সড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসছিল। যশোর নড়াইর সড়কের সিটি কলেজের মেইন গেটের সামনে পৌছালে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন জানায় আন্তজেলা একদল সশস্ত্র ডাকাত যশোর নড়াইল সড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসছিল গোপন খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক পৌনে ১২ টার সময় (ফরিদপুর ট-১১-০২১২) ট্রাক থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রুাক থেকে ডাতাতেরা একটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতেরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় আট ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বোমা,ধারালো অস্ত্র হাসুয়া,ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দঁড়ি উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

 

যশোরে ২০দলীয় জোটের ১১ নেতাকর্মী আটক
যশোর কোতয়ালি থানা ও পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা ১০ ঘন্টা অভিযান চালায়। এ সময় বিএনপি জামায়াত ও শিবিরের ১১জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হচ্ছে যশোর চাঁচড়া ইউনিয়নের বিএনপি’র ওয়ার্ড সেক্রেটারী মোতালেব হোসেন, যশোর সদরের রুপদিয়া গ্রামের মৃত আকবর আলী গাজীর পুত্র শরিফুল ইসলাম,জিরাট গ্রামের মৃত আজিজ মোল্যার পুত্র লিয়াকত আলী, জিরাট গ্রামের লিয়াকত আলীর পুত্র আজিজুল,ইউনুচ মোল্যার পুত্র মইন উদ্দিন,রুপদিয়া গ্রামের নুর ইসলাম গাজীর পুত্র হাবিবুল্লাহ,ওই গ্রামের নুর ইসলাম গাজীর পুত্র আব্দুল্লাহ,জিরাট গ্রামের মৃত আজিজ মোল্যার পুত্র লিয়াকত আলী,ওই গ্রামের মৃত সাদেক মোল্যার পুত্র ইউনুচ আলী, আইয়ূব আলী মোল্যার পুত্র রুবেল হোসেন ও ঘুনী গ্রামের মৃত গোলাম নবী মোড়লে পুত্র বাবুল মোড়ল।পুলিশ জানায় আটককৃতরা বিভিন্ন গাড়ী পোড়া ও ভাংচুর মামলার সন্দেহভাজন আসামী।

 

যশোরে এক যুবক গণধোলাই শিকার
বুধবার সকালে আবু তাহের বিশ্বাস নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনগণ। সে যশোর সদর উপজেলা খোলাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেম বিশ্বাসের পুত্র।
পুলিশ জানায় আবু তাহের বিশ্বাস বুধবার সকালে সুজলপুর এলাকায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটানোর প্রস্তুুতি নিচ্ছিল। এ সময় ওই এলাকার লোকজন তাকে আটক করে গনধোলাই দেয়। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে থানা হাজতে সোপর্দ করে।



মন্তব্য চালু নেই