যশোরে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী নিপিড়নের অভিযোগ ॥ তদন্ত কমিটি গঠন
যশোর অফিস: যশোর উপশহর এলাকায় মহিলা করেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান একেএম শাহাবুদ্দিন ওরফে পাবলো শাহী ঐ কলেজের এক শিক্ষার্থীকে জোরপুর্বক যৌন হয়রাণী করেছেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ঐ শিক্ষকসহ তার পক্ষের আরো কয়েকজন ঘটনা ধামাচাপা দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। হয়রাণির শিকার ছাত্রী যাতে কারো কাছে মুখ না খোলে সেজন্যও তাকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি গঠন করেছেন।
জানা গেছে, যশোর উপশহর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী রোব্বার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কলেজে গিয়ে নীচ তলায় ঐ কলেজের বিভাগীয় প্রধান পাবলো শাহীর কাছে সাজেশান চান। তখন ঐ শিক্ষক তাকে তার কক্ষে যেতে বলেন। ঐ ছাত্রী তার কক্ষে গেলে পাবলো শাহী সাজেশন পাওয়ার জন্য এক পর্যায়ে তার সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দেন। এতে ঐ ছাত্রী রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে তিনি উঠে তাকে যৌন হয়রাণী করেন। এ সময় ঐ ছাত্রী জোর জবরদস্তি করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। পরে সে বিষয়টি কলেজের এক শিক্ষিকা ছাড়ও তার অভিভাবকদের জানান।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাড়াও যশোরে তোলপাড় চলছে। আর পাবলো শাহী ও তার পক্ষের কয়েকজন শিক্ষক ঘটনা ধাপাচাপ দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। হয়রাণীর শিকার ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদেরও মুখ না খুলতে চাপ দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় চরম হতাশা আর বয়ের মুখে রয়েছেন তারা। ছাত্রীর অভিভাবকরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তবে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পাবলো শাহী সবকিছু মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি জানান- তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
এদিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষ হারুনার রশিদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তিনি কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহনাজ পারভিনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটি রিপোর্ট দিলেই তিনি এ ব্যাপারে পরবর্তি পদক্ষেপ নেবেন।
মন্তব্য চালু নেই