যত্ন নিয়ে ই‌ংরেজি শেখানো হয়, ছাত্রছাত্রী টানতে সরকারি স্কুলের বিজ্ঞাপন

ইংরেজি শেখানোয় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সঙ্গে মিলবে বিনামূল্যে পোশাক এবং বইপত্র। ইংরেজি মাধ্যমের দাপটে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পড়ুয়া টানার লক্ষ্যে এমনই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন যাদবপুরের সরকার অনুমোদিত একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

যাদবপুরের বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো হয়েছে বাপুজিনগর শিশু শিক্ষালয় কর্তৃপক্ষের ব্যানার। কিন্তু ইংরেজি শেখানোর বিষয়টিকে প্রচারে আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার কারণ কী? স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এলাকাবাসীদের অধিকাংশই মনে করেন, বাংলা মাধ্যম স্কুলে ঠিকমতো ইংরেজি শেখানো হয় না। তাই তাঁরা ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেই ভর্তি করান। এর জেরে ধুঁকছে বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতেই এই উদ্যোগ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, দেশ স্বাধীনতার পরেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ এসে যাদবপুর-বাঘাযতীনের বিস্তীর্ণ

এলাকায় বসতি গড়ে তোলেন। সেই সময়েই এই এলাকায় অনেকগুলি স্কুল তৈরি করা হয়। একসময় রমরমা থাকলেও এখন ওই বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির অধিকাংশই মুমূর্ষূ অবস্থায়। পঞ্চাশের দশকে তৈরি বাপুজিনগর শিশু শিক্ষালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা গত কয়েক বছরে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছিল। এই উদ্যোগের পর কিছুটা হলেও পড়ুয়া বেড়েছে।

স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ নির্মল মণ্ডল বলেন, ‘‘চলতি বছর থেকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছি আমরা। এতে সাড়াও মিলছে। এলাকাবাসীদের একাংশ তাঁদের বাড়ির ছেলেমেয়েকে আবার আমাদের কাছে পাঠাচ্ছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পাড়ায় পাড়ায় যেসব ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুল ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে, সেগুলিতে পড়াশোনা হোক বা না হোক, বিজ্ঞাপনের চাকচিক্যের জন্য অনেকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। তবে আমরা সঠিক লক্ষ্য নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছি।’’



মন্তব্য চালু নেই