মৌলভীবাজার পবিস মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের সপ্তম দিনের মত কর্মবিরতি অব্যাহত

সৌরভ আদিত্য, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়ায় অন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর মত শ্রীমঙ্গলস্থ মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা গত ৭দিন থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর গিয়ে দেখা যায় শ্রীমঙ্গলস্থ মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সামনে মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা তাদের বাদীর আদায়ের প্রতি বিভিন্ন শ্লোগান ও বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এর বক্তব্য হচ্ছে মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের দাবীর ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সহানুভূতিশীল, কিন্ত দাবী বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া আন্দোলনকারীদের মন:পুত না হওয়ার কারনে কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। তবে তিনি জানান বিকল্প লোকবল নিযুক্ত করে বিভাগীয় কাজকর্ম চালানো হচ্ছে। মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা কর্মবিরতি চলাকালে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যাক্তি তাদের ন্যায্য দাবীর প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

চাকুরী নিয়মিত করণ, অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করণ এবং চাকুরী ছাটাই বন্ধ করার ৩ দফা দাবিতে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ১শত ৭৫ জন মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জাররা গত ৯ নভেম্বর বুধবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে সমিতির প্রধান ফটকে সামনে। কর্মবিরতি পালনকারী সদস্যরা তাদের দাবী আদায়ের প্রতি সময়ে সময়ে বিভিন্ন শ্লোগান ও পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখছেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে মো: বেলাল মিয়া, সুমন দেব, চয়ন দাস প্রমুখের সাথে আলাপ করে জানা যায় ৩ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত মিটার রিডার ও ম্যাসেঞ্জারদের চাকুরী পরবর্তীতে ২দফায় মোট ৯ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং চাকুরীর বয়স ৫৫ বছর পর্যন্ত করার পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিয়ম রয়েছে। ওই নিয়ম পল্লী বিদ্যুদের জেনারেল ম্যানেজাররা তা না মেনে অনেক কর্মচারীকে বিভিন্ন অজুহাতে চাকুরী হতে ছাটাই করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার ভিতর নিয়োগ বানিজ্যের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার দুপুরে সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক এর কয়েকজন সদস্য তাদের দাবী প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে কিছু সময় তাদের সাথে অবস্থান করেন।



মন্তব্য চালু নেই