মোদির বাংলাদেশ সফর নিরাপদ নয় : কাদের সিদ্দিকী
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার বিকেলে মতিঝিলে সংলাপ ও অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে আসা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের দেশ সফরে এসে সাধারণ মানুষের ভালবাসা পাবেন না। বিনা ভোটে জবরদখলকারী সরকারের আহ্বানে বাংলাদেশে এসে বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে তা হবে আমাদের জন্য মর্মবেদনার কারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর যাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণ হয়, সেখানে মোদির গাড়িবহরে যে হামলা হবে না তার নিশ্চয়তা কী? প্রধানমন্ত্রীর বহরে হামলায় আমরা লজ্জা পাই নাই। কারণ, আমরা উনাকে চাই না। এরকম একটি অপ্রিয় সরকারের আহ্বানে বাংলাদেশ এলে দগ্ধ-বিক্ষুব্ধ জনগণের কেউ যদি মোদিকে অপমান করে, বিক্ষোভ করে, কালো পতাকা দেখায় সেটা খুবই মর্মপীড়ার কারণ হবে।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মোদি সরকারের পূর্ববর্তী সরকারের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং অবৈধ কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। বর্তমান সরকার এ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অজনপ্রিয়। ভারতের জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মোদির এমন অজনপ্রিয় সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসা উচিত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের ১৪ হাজার বীর সেনানীর রক্ত আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আমরা ১৬ কোটি মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছি। তাই একটি নির্বাচিত জনপ্রিয় সরকারের আমন্ত্রণ পর্যন্ত মোদিকে অপেক্ষা করতে হবে।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ যদি রাজপথের প্রধান বিরোধী দল হতো তাহলে সরকার ৬ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারত না।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘৯ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে, আমি বিরোধী দলের নেতা হলে সরকার ৬ দিনই ক্ষমতায় থাকতে পারত না। আসলে আমি বলেছি, আমাদের দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বিরোধী দলে থাকলে সরকার ৬ দিন নয় ৫ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারত না।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘হাতে পেট্রোলবোমা নয়, প্রত্যেকে নিজের দুই হাত বেঁধে রাস্তায় নামতেন।’
অবস্থান কর্মসূচিতে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে রয়েছেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিব উন নবী সোহেল, ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রিফাতুল ইসলাম দ্বীপ, শিমুল প্রমুখ।
গত ২৮ জানুয়ারি থেকে সংলাপ ও অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে মতিঝিলে অবস্থান করছেন কাদের সিদ্দিকী।
মন্তব্য চালু নেই