মেয়ের জন্যই ইনস্টাগ্রাম শিখতে হয়েছে

একসময়ের বিখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী সোনি রাজদানের এখন বড় পরিচয় তিনি আলিয়া ভাটের মা। থার্টি সিক্স চৌরঙ্গি লেন, মান্ডি, সারাংশ, ত্রিকাল, খামোশ প্রভৃতি সিনেমায় সাড়া জাগানো এই অভিনেত্রী অনেক দিন নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। দীর্ঘ এগারো বছর পর এই এপ্রিলে আবার ফিরেছেন ছোট পরদায়।

কামব্যাকের সবচেয়ে কষ্টকর দিকটা কী? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, শ্যুটিংয়ের কী লম্বা সময় রে বাবা। সিনেমায় তবু তো কয়েক দিন শ্যুটিং করেই অভিনেতাদের ছুটি। টিভিতে কোনও ব্রেকই নেই। তার উপর কস্টিউম। সারা জীবন ঘুরে বেরালাম জিন্স-টিশার্টে। এখানে পরতে হচ্ছে রাজমাতার কস্টিউম। তার উপর এই গরম।

তাঁর ভাবনা জুড়ে এখন দুই মেয়ে, আলিয়া আর শাহিন। জানালেন, ভয় না হলেও চিন্তায় থাকেন মেয়েদের নিয়ে। স্বীকার করলেন, অবশ্যই চিন্তায় থাকি। বিশেষ করে আলিয়াকে নিয়ে। এত বেশি কাজ করে। ভাবি মেয়েটার শরীর না খারাপ হয়।

কত বলি বিশ্রাম নিতে, কিন্তু কিছুতেই কথা শুনবে না। মাত্র সতেরো বছর বয়সে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকে পড়ায় তাঁর মনে হয়েছিল, বড্ড আগে আগে কাজে ঢুকে পড়লেন আলিয়া। আরও কিছুদিন টেনশন-মুক্ত জীবন কাটাতে পারত, বলেন আলিয়ার মা সোনি।

হাসতে হাসতে বলছিলেন, আলিয়া কোনও শ্যুটে বেরোলে, এখন নাকি টুইটার-ইনস্টাগ্রামে নজর রাখেন মেয়ের উপর। ওহ, আর কত কী যে শিখতে হবে এই বয়সে। ওর জন্যই শিখতে হয়েছে ইনস্টাগ্রাম, গলায় মায়ের টেনশন।

কিন্তু মহেশ ভাটের মেয়ে না হলে কি এত সহজে ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতে পারতেন আলিয়া? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হয়তো পারত না। এখন নিজের যে জায়গাটা করে নিয়েছে, সেটা মহেশ ভাটের মেয়ে বলে নয়। ওটা নিজের জোরে।



মন্তব্য চালু নেই