মেয়েদের ভালবাসা আসলে কেমন? আসুন মেয়েদের মুখেই শুনি
[মেয়েদের অনেকে বলেন রহস্যময়ী। কবি সাহিত্যিকরা মেয়েদের সৌন্দর্য্য নিয়ে লেখেন গল্প কবিতা। অনেকে বলে থাকেন মেয়েদের ভালবাস বোঝা দায়। আসুন দেখি ফেসবুকে মেয়েদের কিছু স্ট্যাটাস দেখি যেখান থেকে বোঝার চেষ্টা করব মেয়েদের ভালবাসা কেমন। সেটা প্রেমিক-প্রেমিকা, মা-সন্তান, পরিবারে সব ভালবাসার ক্ষেত্রেই দেখব]
০১
মেয়েরা প্রিয় মানুষের উপরে রাগ করলে সব চেয়ে কমন যে লাইনটা বলে,
– শোন তুমি আমাকে ভুলেও কল দিবা না ।
অথচ মিনিট দশেক পর থেকে প্রতি দুই মিনিটে একবার মোবাইল চেক করে। শত কাজ, শত ব্যস্ততার মধ্যেও মোবাইল এ চোখ রাখে।পাগলের মত চায় , ছেলেটা কল করুক , তখন মেয়েটা ভালবাসা লুকিয়ে কঠিন ধমক দিয়ে বলবে ,
– তোমাকে না কল করতে নিষেধ করলাম , আমাকে ছাড়া থাকতে পার না, তো কস্ট দাও কেন ?
মেয়েদের ভালবাসা এমনই ।
০২
এক বাচ্চা ছেলে তার মাকে কাঁদতে দেখে প্রশ্ন করলো “মা তুমি কাঁদছ কেন??
মাঃ “কারন আমি একজন মহিলা”
ছেলেঃআমি বুঝতে পারলাম না!!
মা তাকে জড়িয়ে ধরলেন আর বললেন” তুমি বুঝতেও পারবেনা!”
… এর পর ছেলেটি তার বাবার কাছে গিয়ে জিগ্যেস করলো ” বাবা!! মেয়েরা কারন ছাড়া কাঁদে কেন?
বাবা শুধু এটাই বলতে পারলেন ” মেয়েরা এমনি! তারা কারন ছাড়াই কাঁদে!!
এই উত্তরেও ছেলেটি সন্তুষ্ট হতে পারলনা এরপর সে একজন জ্ঞানী লোককে এক ই প্রশ্ন জিগ্যেস করলো
সেই জ্ঞানী লোকের উত্তর ” যখন সৃষ্টিকর্তা মেয়েদের কে সৃষ্টি করেন তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়েরা হবে বিশেষ একজন!! ” তিনি তার কাধ কে এমন শক্তিশালী করলেন যা সমস্ত পৃথিবীর বোঝা বহন করতে পারে অপর দিকে তার বাহুর আলিঙ্গন কে করলেন কুসুম কোমল যা মমতার আলিঙ্গনে জড়িয়ে রাখে!! এর পর সৃষ্টিকর্তা তার মধ্যে অন্তর্নিহিত শক্তি প্রদান করলেন যা তাকে সন্তান জন্মদান এর মত কষ্টকর কাজ সহ্য করর ক্ষমতা দিল আর এর সাথে সকল প্রকার কষ্ট সহ্য করার শক্তি!
আল্লাহ তাকে সামর্থ্য দিলেন কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়া পরিবার ও সকল বন্ধুদের কে কোন প্রকার অভিযোগ না করেই সেবা করার!! আল্লাহ তাকে তার সন্তানের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা দান করলেন এবং তাকে সংবেদনশীল করে দিলেন যেন সব সময় তিনি তার সন্তানকে আলবাসেন এমনকি সন্তান তাকে যদি কষ্ট দেয় তবুও!! আল্লাহ তাকে স্বামীর প্রতি যত্ন নেয়ার শক্তি দিলেন যদি তার স্বামীর কোন খুত থাকে তবুও। এই সকল কঠিন কাজের জন্য দিলেন “কান্নার আশ্রয়” এটা তার যখন প্রয়োজন ব্যবহার করার আর এটা তার একমাত্র দুর্বলতা।
যখন জন্ম নিয়েছিলাম ,
তখন এক মহিলা ছিল আমাকে জড়িয়ে ধরার জন্য–একজন “মা”
যখন একটু বড় হয়ে শৈশব এ পদার পন করলাম, এক মেয়েকে আমার খেয়াল রাখা আর খেলার সাথি হিসেবে পেয়েছি– এক বোন
যখন স্কুল এ গেলাম এক মহিলা ছিল আমাকে শিক্ষা দানের জন্য–একজন শিক্ষিকা
আমার যখন একজন সঙ্গি সহমর্মী, ভালোবাসার আধার হবার জন্য–একজন স্ত্রী
যখন রুক্ষ আর কঠিন হয়ে যাব একজন থাকবে যার কারনে কোমলতা ফিরে আসবে–একজন কন্যা
যখন মৃত্যুবরণ করব এক মহিলা আমাকে কাছে টেনে নিবে–আমার মাতৃভূমি
আপনি যদি ছেলে/পুরুষ হন সকল মেয়ে/মহিলা কে তাদের প্রাপ্য সম্মান দিন, আপনি মেয়ে হলে নিজের জন্য গর্বিত হন।
মন্তব্য চালু নেই