মেয়েদের ছেলেবন্ধু কেন প্রয়োজন!
কয়েক বছর আগেও ছেলেমেয়ের বন্ধুত্বকে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হতো না। এখন এই বিষয়টা কিছুটা শিথিল হলেও কেউ কেউ আছে যারা কোনোভাবেই ছেলেমেয়ের বন্ধুত্ব মেনে নিতে পারে না। তাদের জন্যই বলছি, আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে, একটি মেয়ের একজন ভালো ছেলেবন্ধু থাকার অনেক সুফল রয়েছে। ছেলে বন্ধু থাকলেই যে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে, এমনটা ভাবা মোটেও ঠিক না।
ব্লুগ্যাপ ওয়েবসাইটে মেয়েদের জীবনে ছেলে বন্ধু থাকার ভালো কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে। চলুন, এক নজরে দেখে নিন একটি মেয়ের জীবনে ভালো ছেলে বন্ধু থাকা কতটা জরুরি-
১. যখন আপনার কাউকে প্রয়োজন হবে তখন সবসময় ছেলে বন্ধুটি আপনকে সাহায্য করবে। আপনি প্রয়োজনের সময় তাকে কাছে পাবেন। কোনো রকম শর্ত ছাড়াই সে আপনার জন্য কাজ করে যাবে।
২. যদি কেউ আপনার মনে কষ্ট দেয় অথবা বিপদে ফেলার চেষ্টা করে তাহলে আপনার ছেলে বন্ধুটিই ছুটে আসবে। কারণ সে আপনার কোনো রকম ক্ষতি হোক এটা চায় না। তাই বিপদে-আপদে সবসময় আপনি তাকে কাছে পাবেন।
৩. আপনি যতই উদ্ভট আচরণ করেন না কেন সে কখনোই বিরক্ত হবে না। আর যদি সে বিরক্তও হয় তাহলে ভয় পাওয়া কিছু নেই। কারণ আপনার আচরণের কারণে সে অন্তত আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
৪. কোনো কিছুই তার কাছ থেকে গোপন করতে হবে না। কারণ সে আপনার জন্য খুবই বিশ্বস্ত একজন মানুষ। তাই তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করুন। ঠকবেন না।
৫. সে সবকিছুতেই আপনাকে সাহায্য করবে। আপনার মনকে বোঝার চেষ্টা করবে। আপনার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেবে। এর মানে এই নয় যে, সে আপনার সব অন্যায় আবদার মেনে নেবে। তবে সে অন্য সবার চাইতে আপনার মতামতকেই বেশি গুরুত্ব দেবে।
৬. যখন সে আপনার সাথে থাকবে তখন আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী সব করতে পারবেন। এক রকমের স্বাধীনতার স্বাদ পাবেন তার সঙ্গে।
৭. আর কারো মনে থাকুক আর নাই থাকুক আপনার জন্মদিনের কথা ঠিকই আপনার ছেলে বন্ধুটির মনে থাকবে এবং সে সব সময় চেষ্টা করবে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার।
৮. একটু আধটু নাটক তার সাথে করাই যায়। যে ঘটনাটি আপনাকে পুরোপুরি আনন্দ দেবে। আর এই ধরনের মুহূর্তে সে-ও আপনাকে সঙ্গ দেবে। যা শুধু একজন ভালো বন্ধুর কাছেই আশা করা যায়।
৯. কোনো বিষয়ে তাকে বোঝাতে আপনাকে খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। একটু মৃদুস্বরে বললেই সে আপনার সব ধরনের আবদার মেনে নেবে। বিশ্বাস না হলে আজই চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
১০. আপনার মা-বাবাও তাকে অনেক বিশ্বাস করবেন। কারণ আপনার সব কাজেই তার স্বাচ্ছন্দ্যে অংশগ্রহণ করার বিষয়টি তাঁরাও অনুভব করবেন।
১১. সত্যিকারের উপদেশ দেবে। কেউ কেউ আছে যারা উপদেশ দেওয়ার নাম করে একগাদা কথা হয়তো আপনাকে শুনিয়ে যাবে। কিন্তু আপনার বন্ধু আপনাকে এমন উপদেশ দেবে যা আপনার পক্ষে মেনে চলা সহজ হবে।
১২. নিজের যেকোনো সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন। যদি সে সেই সমস্যার সমাধান করতে নাও পারে তাহলেও সেই সময়টাতে তার কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি সহায়তা পাবেন।
১৩. অন্য ছেলে সম্বন্ধে সে আপনাকে সূক্ষ্ম বিষয়গুলো জানতে সাহায্য করবে। যদি কোনো ছেলেকে পছন্দ করেন তাহলে আপনার ছেলে বন্ধুটিকে জানান। সে তার সম্বন্ধে খুঁটিনাটি সবকিছু জানার চেষ্টা করবে এবং আপনি ছেলেদের মানসিকতা সম্বন্ধে অনেকটা ধারণা পাবেন তার কাছ থেকে।
১৪. বাস্তবতার বিষয়গুলো তার মাধ্যমেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ছেলেরা অনেক বাস্তবধর্মী হয়ে থাকে। তাই বলা যায়, তাদের সান্নিধ্যে উপকৃতই হবেন।
১৫. আপনি যদি কাউকে পছন্দ করেন তাহলে নির্দ্বিধায় তাকে বলতে পারেন। এতে সংকোচের কোন কারণ নেই। কারণ, সে-ও তো মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। তাহলে আপনি কোনো ছেলের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলে সেটা তাকে জানালে সেখানে দোষের কী?
১৬. আপনার কথায় সে কখোনোই বিরক্ত হবে না। কারণ সে অভ্যস্ত আপনার এ ধরনের আচরণে। তাই চাইলেই মনের কথাগুলো অবিকল বলে দিতে পারেন।
১৭. আপনি কাউকে প্রেমিক করার আগে অবশ্যই তার সম্বন্ধে আপনার ছেলে বন্ধুর সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিন। কারণ একটি ছেলেই আরেকটি ছেলে সম্বন্ধে ভালো ধারণা করতে পারে।
১৮. যদি কখনো আপনার প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায় তাহলে আপনার ছেলে বন্ধুটিই আপনাকে সে সময়ে মানসিকভাবে সাহস জোগাবে। সে কখনোই এ বিষয় নিয়ে মজা করবে না।
১৯. সে কখোনোই আপনাকে একা ছেড়ে যাবে না। কারণ সে জানে আপনার জীবনে তার গুরুত্ব কতটুকু এবং আপনার তাকে কতটা প্রয়োজন।
২০. সে সবসময়ই আপনার ভালো বন্ধু হয়ে থাকবে। যেকোনো পরীক্ষামূলক কাজে আপনি তাকে কাছে পাবেন। হতে পারে সেটা অনেক রিস্কি।
২১. সে কখনো আপনার বাবা, কখনোবা আপনার ভাই আবার কখনো আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর মতো আচরণ করবে।
২২. তার কাছে আপনি সব কথা জমা রাখতে পারেন। মজার বিষয় হলো, আপনার আর নিজস্ব ডায়েরি রাখার প্রয়োজন হবে না যদি আপনার এমন একটি ভালো বন্ধু থাকে।
২৩. সে আপনাকে বন্ধুত্বের বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করবে। আর নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে যথেষ্ট পরিষ্কার থাকবে। কারণ সত্যিকারের বন্ধুত্ব সম্পর্কের মধ্যে ধোঁয়শা রাখে না।
২৪. যতই ঝগড়া হোক না কেন আপনাদের বন্ধুত্বে তার কোনো প্রভাব পড়বে না। কিছুটা মনোমালিন্য যেকোনো সম্পর্কেই হতে পারে। কিন্তু বন্ধুত্ব এমন একটি সম্পর্ক যা খুব সহজে ফাটল ধরে না।
২৫. যতটা না আপনি তার চেয়ে অনেক বেশি সে আপনাকে হাড়াতে ভয় পাবে। কারণ তার জীবনেও আপনি অনেক কাছের একজন মানুষ। যার গুরুত্ব অনেক বেশি তার কাছে।
মন্তব্য চালু নেই