মেয়েকে না পেয়ে মাকে গণধর্ষণ
মেয়েকে না পেয়ে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে তাদের সামনেই মাকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বালিয়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সিরাজদিখান থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত নারী। তার আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত দুজন হচ্ছে- মামলার ১নং আসামি সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়া (২৬) ও মামলার ৩ নং আসামি বালিয়াকান্দা গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে রকি (২৭)। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে দুই ধর্ষক সেলিম ও রকিকে মুন্সীগঞ্জ আদালত হাজতে পাঠানো হয়।
বাদী অভিযোগে জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ৪টার দিকে ৫ দুর্বৃত্ত ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা বাড়ির মাদরাসাছাত্রী (১৪) মেয়ে কোথায় তা জানতে চায়। ঘটনার সময় মেয়েটি আত্মীয়ের বাড়ি থাকায় ক্ষুব্ধ হয় তারা। এক পর্যায়ে স্বামী ও ছেলের হাত-পা-মুখ-বেঁধে দুর্বৃত্তরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি কাউকে জানালে তারা সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সকালে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ফিরে এসে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন।
নির্যাতিতা গৃহবধূর বাড়ি শেরপুরের নলিতা বাড়িতে। প্রায় ১২ বছর ধরে তারা সিরাজদিখানের বালিয়াকান্দা গ্রামের বশির মিয়ার বাড়িতে থাকেন। দুর্বৃত্তরা বাড়িটি নিরিবিলি পেয়ে মাদকের আস্তানা বানিয়েছিল। তবে তাদের বাধার কারণেই এ ঘটনা ঘটনানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণের ঘটনা সত্য। তবে কারা ঘটিয়েছে এটা এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ এ পর্যন্ত বিভিন্ন নাম শুনেছি। তবে পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত আসামিরা ধরা পড়বে।
মুন্সিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি- শ্রীনগর সার্কেল) সামসুজ্জামান বাবু জানান, গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই (২৬ ফেব্রুয়ারি) সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্য চালু নেই