মেয়র আরিফকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে খুঁজছে পুলিশ। শুক্রবার সিলেট মহানগর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এসে পৌঁছার পর থেকেই আরিফকে হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছে। তবে রোববার দুপুর পর্যন্ত তার কোনো হদিস পায়নি পুলিশ।
এদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দুয়েক দিনের মধ্যেই আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। তার ঘনিষ্ট একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের একটি আদালতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে কিবরিয়া হত্যায় অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশসুপার মেহেরুন নেছা পারুল। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রশীদ আহমদ মিলনের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় দফা সম্পূরক চার্জশিট গৃহীত হয়। এ সময় সিলেট সিটি ও হবিগঞ্জ পৌরসভর মেয়রসহ মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়া হয়।
মেয়র আরিফের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আজ রোববার হবিগঞ্জের আদালতে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু বিশেষ কারণে তিনি আজ আত্মসমর্পণ করছেন না। তবে আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত।
এদিকে আনুষ্ঠানিকতা পেরিয়ে আরিফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সিলেট মহানগর পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে। পরোয়ানা পাওয়ার পর থেকেই আরিফকে গ্রেপ্তারের জন্য হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু আরিফের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারছে না তারা।
শুক্রবার ও শনিবার তাকে গ্রেপ্তারে নগরীর কয়েকটি স্থানে অভিযান চালালেও ব্যর্থ হয় পুলিশ। আরিফকে গ্রেপ্তার করতে নগরীর কুমারপাড়াস্থ তার বাসভবন গোয়েন্দা নজরদারিতেও রাখা হয়েছে। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কয়েকজন সদস্য পর্যায়ক্রমে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে। তবে রোববার দুপুর পর্যন্ত আরিফের কোনো হদিস পায়নি পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘গত শুক্রবার মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা পুলিশের হাতে এসেছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’
প্রসঙ্গত, কিবরিয়া হত্যা মামলায় প্রথম দফা সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নগর ভবনে যাওয়াও বন্ধ করে দেন তিনি। আত্মগোপনে থেকেই কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে সিসিকের বিভিন্ন জরুরি ফাইলপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে একেবারেই গা ঢাকা দিয়েছেন আরিফ। কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করছেন না তিনি।



মন্তব্য চালু নেই