মেসির ২৮তম জন্মদিনে জেনে নিন মেসির ২৮টি চমকপ্রদ তথ্য
লিওনেল মেসি। বর্তমান বিশ্বফুটবলের বিষ্ময়। অসাধারণ সব পারফরমেন্সের সৌজন্যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। বার্সেলোনার এই আর্জেন্টােইন জাদুকরের ২৮তম জন্মদিন আজ। এলএম টেনের জন্মদিনে আওয়ার নিউজ বিডির পাঠকদের জন্য আজ তুলে ধরা হলো মেসির ২৮টি চমকপ্রদ তথ্য।
১. মেসির ছোটবেলার কোচের নাম কার্লোস মার্কোনি।
২. ছোটবেলায় লিও ভালোবাসতেন কুকি (বিস্কিট)। মার্কোনি তাকে বলতেন, একটা গোল করলেই একটা চকলেট কুকি দেবেন। চার গোল করলে চারটি কুকি।
৩. উচ্চতা কম বলে হেড করতে ভালোবাসতেন না মেসি। মার্কোনি তাকে বলতেন, হেডে গোল করলেই মিলবে দুটো কুকি। মেসি ডিফেন্ডার, গোলকিপারকে কাটিয়ে গোলের কাছে গিয়ে বল উঁচুতে মেরে হেড করতেন। তার পরে ইঙ্গিতে কোচকে বলতেন, দুটি কুকি রাখতে।
৪. লিওনেল মেসির মাঝের নাম আন্দ্রেস। তার বাবা মা ‘আন্দ্রেস’ রাখেন ইতালীয় পূর্বপুরুষের কথা ভেবে।
৫. হরমোন সমস্তিযার জন তিন থেকে ছয় বছর টানা প্রতিদিন তাকে ইঞ্জেকশন নিতে হতো।
৬. এত লাজুক ছিলেন মেসি, স্পেনে এসে প্রথমে কথা বলতেন না। লা মাসিয়ায় তার সতীর্থরা ভেবেছিলেন তিনি বোবা!
৭. ইতালিতে এক টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে,জানা যায় তিনি কথা বলতে পারেন।
৮. তার বাবার সঙ্গে বার্সার ডিরেক্ঠরের প্রথম চুক্তি হয় এক রেস্তোরার ন্যাপকিনে। সেটা এখনও আছে কি না, তা কেউ জানে না।
৯. মেসি এখনও তার রোসারিও বন্ধুদের টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখেন।
১০. এমনিতে কথা বলেন না। কিন্তু ২০০৯ সালে লা লিগা জিতে এত মদ্যপান করেছিলেন, তার ঘোরে সমর্থকদের সামনে কাতালান ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন।
১১. যে শহরে জন্মেছেন মেসি, বিশ্ব জুড়ে সেই শহরের পরিচিত মুখ তিনি নন। চে গুয়েভারা।
১২. মেসির সঙ্গে রোসারিওর পুরোনো ক্লাব নিওলেয়ল ওল্ড বয়েজের ঝামেলা ছিল। ঝামেলা মেটে মেসি ক্লাবের ডর্মেটরি ও জিম বানানোর জন্য অর্থ দেওয়ায়।
১৩. ঝামেলা মেটার পরই ক্লাব মেসির ছেলের জন্য সদস্য কার্ডের ব্যবস্থা করে।
১৪. রোসারিওর হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগের জন্য ৬ লক্ষ্য ইউরো দেন মেসি।
১৫. সেরেনা উইলিয়ামসের জন্য ইউনিসেফের এক প্রচারে মেসি অংশ নেন। স্কুলে না পড়া ছেলেমেয়েদের জন্য।
১৬. এনবিএ সুপারস্টার কোবে ব্রায়ান্টের সঙ্গে এক বিজ্ঞাপনে অংশ নেন। রজার ফেদেরারের সঙ্গেও বিজ্ঞাপন করেন তিনি।
১৭. মেসিকে ফুবলে আনেন ঠাকুমা সেলিয়া। গোলের পরে বুকে ক্রস একে মেসি আকাশের দিকে তাকান ঠাকুমার স্মৃতিতেই।
১৮. বান্ধবী অ্যান্তোনেল্লি রোকুজ্জো ছাড়া যে তরুণীর সাথে মেসির নাম যুক্ত হয়, তিনি আর্জেন্টিনার বিখ্যাত মডেল লুসিয়ানা সালাজার।
১৯. রোসারিওর মেয়ে মারারেনা লেমসের সঙ্গেও জড়িয়ে যায় মেসির নাম। যার সঙ্গে আলাপ হয় ২০০৬ বিশ্বকাপের আগে।
২০. ২০০৯ সালে অ্যান্তোনেল্লি রোকুজ্জোর সঙ্গে প্রেমের কথা প্রথম প্রকাশে আনেন মেসি। এক টিভি শোতে।
২১. জাপানি স্বর্ণব্যবসায়ী গিঞ্জা তকানা মেসির বা পায়ের মাপে ২৫ কেজির সোনার পা বানান। দাম হয় সাড়ে ৫২ লক্ষ্য ডলার।
২২. মেসির দুই তুতো ভাই ম্যাক্সি ও ইমানুয়েল বিয়ানকুচি ফুটবল খেলেন। সেটা ব্রাজিলের বাহিয়া ও ভাস্কো ক্লাবে।
২৩. মেসির রোসারিওর বাড়িতে কেউ থাকে না। কিন্তু বাড়িটা রেখেছেন তারা। মা থাকেন অভিজাত এলাকায় পেন্টহাউসে।
২৪. বাবা-মাকে এত ভালোবাসতেন যে, একবার জাতীয় দলের অনুশীলণে বুয়েন্স এইরেসে থেকে তিন ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে আসেন রোসারিও শুধুমাত্র ডিনার করতে। রাতে থেকে আবার সকালে বুয়েন্স এইরেসে অনুশীলণে যান।
২৫. নিজের ছোটবেলার শরীর খারাপের কথা ভেবে ২০০৭ সালে লিও মেসি ফাউন্ডেশন গড়েন। আর্জেন্টিনার গরীব শিশুদের চিকিৎসার জন্য।
২৬. তার ছেলে থিয়াগোর প্রথম জন্মদিনে ইউনিসেফের জন্য এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মেসি।
২৭. মেসির ছোটবেলার আদর্শ ব্রাজিলের রোনালদো। আর ভালো লাগতে জিদান, রিভাল্দো এবং রোনালদিনহোর খেলা।
২৮. মেসির ছেলেবেলার সবচেয়ে প্রিয় খাবার ছিল মিলানেসা লা নাপোলিতানা। চিজ ও টমেটো সস দিয়ে বীফ কাটলেট। মা সপ্তাহে অনেকদিন বানিয়ে দিতেন।
মন্তব্য চালু নেই