মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত ক্লোজড
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে গঠিত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)`র তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তের চ্যাপ্টার ক্লোজড করে দিয়েছে। বুধবার রাতে তদন্ত কার্যক্রমের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ সর্দার।
তিনি জানান, কিসের ভিত্তিতে, কী তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছে তা বোধগম্য নয়। তারা কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি। সুতরাং বিএমএ’র তদন্ত শেষ হয়ে গেছে।
ডা. আবদুর রউফ সর্দার জানান, কোমলমতি শিশুরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে গত সোমবার বিএমএ উদ্যোগী হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিএমএ ভবনে বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে লেখক, কলামিস্ট ড. সৈয়দ আবুল মকসুদ, সাংবাদিক আবু সাইদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, অভিভাবকদের পক্ষে অধ্যক্ষ আশরাফ আলম ও আন্দোলনরত কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা মৌখিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করে। প্রয়োজনে তারা একদিনের মধ্যে সকল তথ্য-প্রমাণ হাজির করবে বলেও জানায়।
দুই ঘণ্টা বৈঠক চলার পর বিএমএর নেতারা উপস্থিত সকলকে জানায়, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে তারা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করবে। শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে তথ্য-প্রমাণ হাজির করবে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টায় কিছু শিক্ষার্থী হাজির হলেও আগের দিন যারা এসেছিলেন তারা আসেননি। তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ চাইলে তারা জানায়, তাদের কাছে সিডি আছে। কিন্তু এ মুহূর্তে তারা দিতে পারবে না।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জানান, বুধবার তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল মকসুদকে শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ জমা না দেয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। বিএমএ সভাপতি ও মহাসচিবের সঙ্গে আলাপ করে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই