মৃত মানুষের মাংস খায় যে সাধকরা

লজ্জা, ঘৃণা আর ভয়, এ তিনটি জিনিস থাকলে সাধান হয় না। এমনটাই বিশ্বাস করেন শিব এবং কালীর উপাসকরা। তারা নোংরামির মধ্যেই পান পুণ্যের সন্ধান। লজ্জাকে ঝেড়ে ফেলতে নামমাত্র একটুকরো কাপড় জড়িয়ে রাখেন, কখনো আবার তাও নয়। সারা গায়ে মাখা থাকে শুধু ছাই।

লম্বা চুল‚ কালো পোশাকের এ সাধকদের পছন্দের সাধনার জায়গা শ্মশান। তবে হিমালয়ের গুহা‚ সুন্দরবনের জঙ্গল‚ পশ্চিম ভারতের মরুভূমিও তাদের পছন্দের।

এ সাধুরা বিশ্বাস করেন‚ কালী সাধনায় প্রয়োজন মাংস এবং যৌনতা। সাধকআবার মাংসতে কোনো বাছবিচার থাকলেও চলবে না। তাই মৃতদেহের মাংস খান সাধকরা। তাও আবার কাঁচা, কখনো অবশ্য পুড়িয়ে। তারপর সেই দেহের উপর বসে চলে সাধনা। কোনো কোনো সময় ওই দেহের সঙ্গেও মিলিত হন তার।

শুধু তাই নয়, ক্ষুধা পেলে তারা নির্দ্বিধায় খেয়ে ফেলেন মানুষের বর্জ্যও। শ্মশানের পাশে বসে একই সঙ্গে খাবার ভাগ করে খান কুকুর বিড়াল বা অন্য প্রাণীর সঙ্গেও। কারণ তাদের দর্শন হলো‚ মনে ঘেন্না থাকলে ঈশ্বর চিন্তা সম্পূর্ণ হয় না। ঘেন্নার বেড়াজাল অতিক্রম করতে পারলেই সাধনায় মিলিত হওয়া যায় আরাধ্যের সঙ্গে।



মন্তব্য চালু নেই