মৃত্যু এড়াতে চাইলে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো জেনে নিন

হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে। যুবক আর বৃদ্ধ নেই; সবাই শিকার এই নিরব ঘাতকের। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সাধারণত চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হওয়ার কারণে। বাড়ির কারও হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এটা বুঝতে হলে তো কিছু লক্ষণ জানতে হবে। না হলে একেবারে শেষ পর্যায়ে বুঝতে পেরে হাসপাতালে নিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিছু করার থাকে না।

জেনে রাখবেন, হঠাৎ করে নয়; হার্ট অ্যাটাক জানান দিয়ে আসে। লক্ষণ জানতে পারলে বিপদ এড়ানো সম্ভব। বুকে শুধু চিনচিনে ব্যথাই নয়, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ একাধিক। চিকিত্সকদের মতে, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর যতগুলি ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে সত্তর শতাংশ মানুষের বুকে ব্যথা ছাড়া অন্য লক্ষণগুলি বেশি দেখা দেয়। সেই লক্ষণগুলিই হার্ট অ্যাটাকের বার্তা দিয়ে যায়। কিন্তু সচেতনতার অভাবে সেই সব লক্ষণ উপেক্ষা করেন অধিকাংশ মানুষ। অবহেলার কারণেই পরবর্তীতে তা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী সেই লক্ষণ? আমেরিকান হার্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট দিয়েছে।

সেই লক্ষণগুলো কী কী?

০১. পুরুষদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা অথবা অস্বস্তি অনুভব হওয়া।

০২. দ্রুত অথবা অনিয়মিত হার্টবিট।

০৩. ঘুম ঘুম ভাব, জ্ঞান হারানো অথবা মাথা হালকা হয়ে যাওয়া।

০৪. ঘাম হতে হতে শরীর ছেড়ে দেওয়া।

০৫. পেটের সমস্যা অথবা হজমে গোলমাল এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা।

০৬. নারীদের ক্ষেত্রে বুকে চাপ অনুভব হওয়া।

০৭. বেশ কয়েকদিন ধরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করা।

০৮. উদ্বেগ ও ঘুমের ব্যাঘাত।

০৯. পিঠ, গলা, হাত অথবা চোয়ালে ব্যথা।

১০. ঘুম ঘুম ভাব, পেটে ব্যথা হওয়া এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা।

এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে একমুহূর্ত দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো রোগকে আশিভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এ ছাড়াও পরিমিত আহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফল। কমিয়ে ফেলতে হবে মাত্রাতিরিক্ত চিনি, লবন, ফ্যাট জাতীয় খাবার। নিয়মিত শরীরচর্চাও সুস্থ হার্টের অন্যতম উপায়। যে কোনও প্রকারেই এড়িয়ে চলতেই হবে তামাক জাতীয় দ্রব্য। এছাড়া ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগার, ব্লাড কোলেস্টেরলের মতো রোগ সম্পর্কে আগেভাগে সচেতন হলে মিলবে হার্ট অ্যাটাক থেকে মুক্তি।



মন্তব্য চালু নেই