মৃতব্যক্তি নারী হলে কাফন পরাবেন যেভাবে
মৃতব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর নতুন কাপড় দিয়ে কাফন পরিধান করানো ফরজে কিফায়া। কাফনের কাপড় হতে হবে সাদা। মানুষের মৃত্যুর পর পরই দেরি না করে গোসল দেয়া উত্তম। গোসলের পরই মৃতব্যক্তিকে কাফন পড়াতে হয়। কিন্তু কিভাবে?
অনেকেই মৃতব্যক্তিকে কাফন পড়ানোর নিয়ম জানেন না। অথচ কাফনের কাপড় পরিধান করানোর নিয়ম জানা সবার জন্যই জরুরি। মৃতব্যক্তি পুরুষ হলে যেভাবে কাপড় পরিধান করানো ও কাফনের সময় প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-
>> প্রথমেই কাফনের চাদর চৌকি বা খাটিয়ার উপরে বিছিয়ে নিতে হবে। তারপর সিনা বরাবর সিনাবন্দ (কাপড়) বিছাতে হবে
>> তারপর সিনাবন্দ ও চাদরের ওপর ইজার বা তাহবন্দ রাখতে হবে।
>> অতঃপর বিছানো কাপড়গুলোর মধ্যে সুগন্ধি লাগাবে।
>> সুগন্ধি লাগানোর মৃতব্যক্তির জন্য বানানো জামার পিঠের বা নিচের অংশ ইজারের ওপর বিছিয়ে সামনের বা উপরের অংশ মাথার দিকে উঠিয়ে রাখতে হবে।
>> কাপড় পরিধান করানোর সময় তিনবার চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা সুগন্ধি দেয়া সুন্নাত।
>> কটন বা তুলার মধ্যে সুগন্ধি লাগিয়ে দুই নিতম্বের মাঝে রেখে দেয়া। যাতে মৃতব্যক্তির পুরো শরীরে সুগন্ধি ছড়ায়।
>> অতঃপর মৃতব্যক্তিকে জামার ওপর শোয়াতে হবে এবং মাথার দিকে ভাঁজ করে (ওঠিয়ে) রাখা জামার সামনের বা ওপরের অংশ মৃতব্যক্তির শরীরে ওপর ধীরে ধীরে বিছিয়ে দিতে হবে।
>> মৃতব্যক্তিকে জামা পরিধান করানোর পর মৃতব্যক্তির চুল দু’ভাগ করে বা বেনি করে ডান ও বাঁম পাশে জামার ওপর অর্থাৎ বুকের ওপর রেখে দিবে।
>> মৃতব্যক্তিকে পরানোর জন্য সেলাইবিহীন জামা হবে নেসফে সাক বা হাটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা। জামা পরিধান করানোর পর মৃতব্যক্তিকে গোসলের পর ঢেকে রাখা কাপড় সরিয়ে ফেলবে।
>> মৃতব্যক্তিকে জামা পরিধান করানোর পর প্রথমে ইজার জড়াতে হবে। ইজারের ডান পাশ বা অংশ বাম পাশ বা অংশের ওপর থাকবে।
>> চাদর ও ইজারের মতো পরিধান করাতে হবে। অর্থাৎ চাদরের বাম পাশে আগে মৃতব্যক্তির ওপরে রাখবে অতঃপর ডান পাশের কাপড় বাম পাশের কাপড়ের ওপর রাখবে।
সর্বশেষ মাথার দিকে ও পায়ের দিকে থাকা অতিরিক্ত কাপড়ের মাথাকে মুঠি করে ফিতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে এবং মৃতব্যক্তির কোমর বরাবর ফিতা দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
অতঃপর জানাযা শেষে মৃতব্যক্তিকে দাফন করার সময় কাফনের সব বাঁধন খুলে দিতে হবে।
মৃতব্যক্তি নারী হলে কোনো পুরুষ কাপনের কাপড় পরিধানের সময় থাকবে না। আল্লাহ তাআলা নারী মৃতব্যক্তিদের পর্দার সঙ্গে কাফন পড়ানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই