মুড়ির প্যাকেট সারিয়ে তুলবে পানিতে ডুবে যাওয়া মোবাইল
আপনার শখের মোবাইল ফোনটি পানিতে পড়েছে মানেই কি শেষ! আর চালাতে পারবেন না বলে মন খারাপ হচ্ছে? হবারই তো কথা। শখের মোবাইল বলে কথা। কিন্তু না। মন খারাপ একদমই করবেন না। কেন না, পানিতে পড়ে যাওয়া মোবাইলও খুব সহজে সারিয়ে তোলা যায়। আর সেটা ঘরে বসে আপনিও পারবেন। আপনার মোবাইল ফোনটি যদি পানিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তুলতে পারেন, তবে ঘরে বসেই সারিয়ে তুলতে পারবেন নিজেই! কীভাবে? কোনো কারণে ফোন পানিতে পড়ে গেলে ‘গেল গেল’ করে হায়-হুতাশ না করে মাথা ঠাণ্ডা করে ফোনটা তুলুন। কোন কাজের মধ্যে থাকলে সেটা আপাতত বন্ধ রাখুন। এই ধরুন রান্না, কিংবা কাপর লন্ড্রি প্রভৃতি। তবে যাই করবেন খুব দ্রুত এবং ঠাণ্ডা মাথায়। তারপর নিচের স্টেপ মত বাকি কাজগুলো করে ফেলুন পুরোপুরি মনযোগ দিয়ে।
১। সুইচ অন করবেন না: জলে পড়া ফোন আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। ভুল করেও তা অন করার চেষ্টা করবেন না। প্রথমেই ব্যাক কভার, ব্যাটারি, সিম, মেমরি কার্ড ইত্যাদি জিনিস খুলে ফেলুন এবং আলাদা করে রাখুন।
২। ভালো করে শুকিয়ে নিন: যতটা শুকনো কাপড় দিয়ে মোছা যায় মুছে ফেলুন। তার পর বাড়িতে যদি ভ্যাকিউম ক্লিনার থাকে তা দিয়ে ভেতরের বাড়ি জল শুষে নেয়া যেতে পারে। যদি না থাকে তাও কোনও সমস্যা নেই। হেয়ার ড্রায়ার দিয়েও কাজ চলতে পারে। ভালো করে ব্লোয়ার চালিয়ে ফোনের বাড়তি জল শুকিয়ে ফেলুন। তবে সাবধানে, খুব বেশি দিলে ফোন ‘জ্বলেও’ যেতে পারে।
৩। চালের মধ্যে ফোনটি ডুবিয়ে রাখুন: ব্লোয়ার চালিয়ে জল শুকিয়ে নিলেই যদি ভাবেন ফোন ঠিক হয়ে গেল, তা কিন্তু হবে না। ফোনের ভেতরে একবার জল ঢুকে গেলে যন্ত্রাংশের ভেতরে জলীয় বাস্প জমে থাক। সেটা কিন্তু ব্লোয়ারে বেরবে না। এর জন্য খানিকটা শুকনো চাল নিয়ে একটি এয়ার টাইট প্যাকেটের মধ্যে ভরুন। তার মধ্যে ফোনটিকে খানিকটা ডুবিয়ে প্যাকেটটি বন্ধ করে অন্তত তিন দিন রেখে দিন।
মনে রাখবেন সবুরে মেওয়া ফলে। চাল খুব ভালো জলীয় বাস্প শুষে নিতে পারে। ফলে ফোনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জলীয় বাস্প টেনে বার করে আনবে। ও হ্যা, চালে রাখার আগে চার্জার, হেডফোন ইত্যাদি ফুটোগুলো টিস্যুদিয়ে বন্ধ করতে ভুলবেন না। এর পর ফোন আবার ব্যবহার করতে পারেন।
একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, ফোন কতক্ষণ জলের মধ্যে ডুবে ছিল, কতক্ষণ পরে ফোন বাঁচাতে এ সব জিনিস আপনারা করেছেন, তার ওপর নির্ভর করছে ফোনের বেঁচে ওঠার আশা কতটা রয়েছে। যত দেরি হবে বা যতটা বেশি জল ঢুকবে, ফোনের বাঁচার আশা ততই কমবে।
মন্তব্য চালু নেই