মুশফিক-মিরাজে স্বস্তিতে বাংলাদেশ
৬৮৭ রানের পাহাড়সম রান করেছে ভারত। ফলোঅন এড়াতেও দরকার ৪৮৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। তার ওপর সকালের প্রথম সেশনেই ফিরেছেন প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যান। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ তাকিয়েছিল সাকিব আল হাসান আর অধিনায়ক মুশফিকু রহীমের দিকে। আর তার কিছুটা করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
তবে বাকি কাজটা মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে করার চেষ্টায় বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ দুই ব্যাটসম্যানের দারুণ জুটিতে স্বস্তিতেই তৃতীয় দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। টাইগারদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩২২ রান; ভারতের চেয়ে এখনও পিছিয়ে ৩৬৫ রানে।
শনিবার আগের দিনে ১ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে দলের রান ৩ যোগ করতেই তামিম ইকবালকে হারায় তারা। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির মাশুল দিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন দেশসেরা এ ওপেনার।
এরপর দ্রুত ফিরে যান টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হকও। ব্যক্তিগত ১২ রানে উমেশ যাদবের ভেতরে আসা বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান।
মুমিনুলের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়ে এলবিডব্লিউর শিকার হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ইশান্ত শর্মার ভেতরে আসা বলে পায়ে লাগলে আউট হন তিনি। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। এরপর সাকিবকে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহীম। দেশসেরা এ দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ে ওয়েলিংটন টেস্টের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল।
স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। ১০৩ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে নিজের এ ইনিংস সাজান তিনি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আরও একটি চার হাঁকাতে গিয়ে মিডঅনে যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে এর আগে মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ১০৭ রানের দারুণ এক জুটি।
সাকিবের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরে যান সাব্বিরও। ব্যক্তিগত ১৬ রানে জাদেজার বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। এরপর মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ইতোমধ্যেই গড়েছেন ৮৭ রানের জুটি। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ।
১০৩ বলে ৫১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়েছেন মিরাজ। এ ইনিংস গড়তে ১০টি চারের মার মারেন তিনি। তবে এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৮১ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক। ২০৬ বলে ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১২টি চারের সাহায্যে নিজের এ ইনিংস সাজান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই