মুশফিকের প্রশংসায় নাফীস
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রোববার দারুণ এক জয় পেয়েছে বরিশাল বুলস। শেষ ওভারের রোমাঞ্চ শেষে চার রানে হারায় তারুণ্যনির্ভর রাজশাহী কিংসকে। অথচ সাব্বির রহমান যখন উইকেটে ছিলেন তখন রাজশাহীর জয়ই মনে হয়েছিল সময়ের ব্যাপার। এমন জয়ের পর অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কেজরিক উইলিয়ামসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মুশফিকের। এরপর তার বলে ছক্কা মেরে ইশারায় উইলিয়ামসকে স্লেজিং করেন মুশফিক। এরপর ম্যাচ শেষে রাজশাহীর ড্রেসিং রুমে তাক করে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ফিফটি উদযাপন করেন তিনি। তবে এতে মুশফিকের কোনো ভুল দেখছেন না নাফীস। তার মতে, মুশফিকের আগ্রাসী ভাবই দলের জয়ে সাহায্য করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে নাফীস বলেন, ‘মুশফিক খুব ঠাণ্ডা মাথার। খুব সম্ভবত বোলারের সঙ্গে ওর কোনো কথা হয়েছিল। সে জন্য হয়তো এমন কিছু করেছিল। ও একজন লড়াকু ক্রিকেটার। ও সব সময় জিততে চায়। দলের জন্য খেলে। ওর সব সময় চেষ্টা থাকে ভালো করার। সেই চেষ্টা থেকে হয়তো এমন একটা আচরণ করেছে। আমি এতে ভুলের কিছু দেখি না। ওর মাঠের আগ্রাসী ভাবটা দলকে জয়ের পথে রেখেছে।’
এদিন নাফীস এবং মুশফিকের ১১২ রানের জুটিতে রাজশাহীকে ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্য দেয় বরিশাল। তবে সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এ রানই মনে হয়েছিল খুব সামান্য। সাব্বিরকে ফেরাতে পারলে জয় পাবেন এমন বিশ্বাস কাজ করেছিল মুশফিকদের। আর সে বিশ্বাস থেকেই জয় পেয়েছেন বলে মনে করেন নাফীস।
‘একটা জিনিস আমরা বিশ্বাস করছিলাম, টি-টোয়েন্টি দেড়শ’ রানে জেতার দরকার নাই ১ রানে জেতাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, একটা উইকেট পেলেই খেলা ঘুরে যাবে। দেখে মনে হবে এই উইকেটে ব্যাটিং সহজ। আসলে তা নয়, সেট ব্যাটসম্যানের জন্য খেলা সহজ। নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য এসেই শট খেলা কঠিন। ওই বিশ্বাসটার জন্যই হয়তো জিতেছি।’
তবে ১৯২ রান করেছেন বলে কখনোই আত্মতুষ্টিতে ভোগেননি মুশফিকরা। এটাকেও জয়ের অন্যতম কারণ বলছেন নাফীস, ‘মাঠে নামার সময় মুশফিক বলেছে, ১৩০ রানও ডিফেন্ড করা সহজ। আবার ১৯০ রান ডিফেন্ড করাও কঠিন হতে পারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জেতার আগে কখনও বলা যায় না জিতেছি। এই কথাটা মুশফিক বারবার বলছিল, এই রান করে সন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নাই। আমরা নার্ভ ধরে রাখতে পারায় সব খেলোয়াড়কে ধন্যবাদ জানাই। সবাই আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছে বলেই জিতেছি।’
মন্তব্য চালু নেই