মুশফিকের কথাই যেন সত্যি হয়
বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার এখন যদি বলেন, পাকিস্তানকে হারানো সময়ের ব্যাপার। এ কথা শুনে হয়ত কারো চোখ কপালে উঠবে না। কেননা টাইগাররা ইতিমধ্যে এর প্রমাণ দিয়েছেন। পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করেছেন। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিরই লক্ষণ।
১৬ বছর ধরে ‘জয় চাই, জয় চাই’ শ্লোগান দিয়ে আসছিলেন টাইগাররা। মাঠে গেলে কী যেন হতো তাদের। পাকিস্তান অবলীলায় হারিয়ে দিত টাইগারদের। তা-ও আবার বলে-কয়ে। এই স্মৃতি ধীরে ধীরে গত হতে চলেছে। এখন আর সেদিন নেই, যেদিন বাংলাদেশ সফরে এসে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা হুমকি দিতেন যে, সবগুলো ম্যাচ জিতেই দেশের বিমান ধরতে চাই।
সম্প্রতি দুই দেশের ক্রিকেটে বিপরীত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টাইগারদের বিপক্ষে নিজেদের ফেবারিট বলতে সাহস পাচ্ছেন না পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড় কিংবা কোচ। সমীহ আদায় করে নিয়েছেন টাইগাররা। উল্টো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই পাকিস্তানকে হুংকার দিচ্ছেন। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি নেই বলেই হয়তো মুশফিক-সাকিবরা এমনটা বলতে পারছেন।
বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে একপ্রকার হুমকিই দিয়ে রাখলেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। বললেন, ‘প্রথম টেস্ট থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস নিয়েই মিরপুরে খেলতে নামব। এটাকে আমি ‘ফাইনাল’ ম্যাচই বলব। সুতরাং লক্ষ্য একটাই, জয়। ফাইনাল ম্যাচে জয় তুলে নিতে যেটুকু করা দরকার, তা-ই করব। দলের সবাই কষ্ট করছে। পাঁচ দিন ভালো খেলে ফলটা নিজেদের করে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে।’
এদিকে খুলনা টেস্টে কিছুটা নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে সেরকম পারফর্ম করতে পারেননি। একজন বিশ্বমানের বোলার হিসেবে সেরকম উইকেটও পাননি। তবে ঢাকা টেস্টে সাকিব ঘুরে দাঁড়াবেন বলে আশাবাদী মুশফিক। এই টেস্টে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দিয়ে তাকিয়ে টাইগার অধিনায়ক। বললেন, ‘দলের সেরা বোলার সাকিব। তার কাছ থেকে ৫-৬ উইকেট প্রত্যাশা থাকে। যদি কোনো ম্যাচে ১/২ উইকেট পায়, তাহলে মনে হয় যোগ্যতা অনুযায়ী ফল আসেনি। শেরে বাংলায় তার রেকর্ড বেশ ভালো। আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি। ব্যাটিং-বোলিংয়ে সাকিব যদি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারে, তাহলে দ্বিতীয় টেস্টটি হবে শুধুই আমাদের।’
সাকিবের প্রতি বিশ্বাস আছে মুশফিকের। সুতরাং বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও দল নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, তা যেন দ্বিতীয় টেস্টে সত্যিই হয়। ভক্তদের প্রত্যাশা এমনই।
মন্তব্য চালু নেই