সাঙ্গাকারা-দিলশানের সেঞ্চুরি

‘মিস’-এর মহড়ায় বাংলাদেশের সামনে ৩৩৩

সকাল দেখে দিনটা বোঝা যায়্- এই প্রবাদটি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের শুরুতেই মিলেছিল। কোনো কিছুই পক্ষ নিচ্ছিল না বাংলাদেশের। স্লিপে হাতের ওপর আসা লাহিরু থিরিমানের ক্যাচ ফেলে দিলেন এনামুল হক বিজয়। সেই থেকে শুরু। এরপর একের পর এক ক্যাচ মিস, রানআউট মিস, স্ট্যাম্পিং মিস, ফিল্ডিং মিস। কেবল মিস-এর মহড়া ইনিংস জুড়ে।

বিজয়কে দিয়ে শুরু হলেও শেষতক অনেকেই এসব মিসের মহাড়ায় নাম লিখিয়েছেন। ফলও খুব দ্রুত পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। তিলকারত্নে দিলশান ও কুমার সাঙ্গাকারার জোড়া সেঞ্চুরি বাংলাদেশের এমসিজি অভিষেক বিভীষিকাময় করে দিল। টস জিতে ব্যাট করে বৃহস্পতিবার ১ উইকেটে ৩৩২ রানের বিশাল স্কোর গড়েছে শ্রীলঙ্কা। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পথ ভেবে বসা ম্যাচটা জিততে হলে মালিঙ্গা-ম্যাথুসদের বোলিং আক্রমণ মাড়িয়ে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩৩ রান।

ইনিংসের শুরুতেই শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। থিরিমানে একাই কয়েকটি সুযোগ দিয়েছেন। যার সবাই নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। মাশরাফির করা ইনিংসের চতুর্থ বলে বিজয় সহজ ক্যাচ ফেলেছেন। ৯ম ওভারে ২২ রানে আবারও মাশরাফির বলে থিরিমান্নের ক্যাচ স্লিপ ও উইকেটকিপারের ফাঁক গলিয়ে যায়। সাব্বিরের করা ২২তম ওভারে স্টাম্পিং মিস করেন মুশফিক। ‘কই’ মাছের প্রাণ থিরিমানেকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল। ১২২ রানে ১২তম হাফ সেঞ্চুরি করা থিরিমান্নের ক্যাচ ধরেন তাসকিন। তিনি ৫২ রান করেন।

এরপর শুরু হয় দিলশান-সাঙ্গাকারার জুটিতে শ্রীলঙ্কার বড় স্কোর গড়ার গল্প। তাদের জুটিতে আর ভাঙন ধরাতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই লঙ্কানের ব্যাটে পিস্ট হয়েছেন রুবেল-তাসকিনরা। তারা ২৫.৩ ওভারে ২১০ রানের জুটি গড়েন। শেষ ১০ ওভারে ১২৬ রান তোলেন তারা দুজন।

দিলশান খেলেন ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস। ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরির পর ১১৫ বলে তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন তিনি। ২১তম সেঞ্চুরি করা দিলশান ১৪৬ বলে ২২টি চারে ১৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৬০ রান করেছিলেন তিনি ভারতের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে হোবার্টে।

ক্যারিয়ারের ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাঙ্গাকারা। এমন ম্যাচটাকে স্মরুণীয় করে রাখলেন তিনি ২২তম সেঞ্চুরি দিয়ে। ওপেনার তৈরি করা ভিতের সঠিক ব্যবহার করেছেন সাঙ্গাকারা। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন তিনি। ৭৩ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৭৬ বলে অপরাজিত ১০৫ রান (১৩ চার, ১ ছয়) করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই