মিষ্টির আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

মিষ্টি খেতে প্রচুর ভালোবাসেন? কোনো ভাবেই এর থেকে দূরে থাকতে পারেন না? কিন্তু আপনার আশেপাশের পরিবেশ আপনাকে মিষ্টি থেকে দূরে থাকতে বলছে। এমনটি যদি হয়ে থাকে তবে আজকেই সচেতন হয়ে যান। মিষ্টি আপনি যতই পছন্দ করেন না কেন এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আপনাকে নিয়ে যেতে পারে চরম ক্ষতির দিকে। প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিসসহ আরো অনেক রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রক্তচাপ বৃদ্ধির ও একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। চলুন জেনে নেই মিষ্টির আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়সমূহ।

দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করুন
মিষ্টি যখন আপনার খুব প্রিয় তখন আপনার ক্ষুধাভাব অনেকাংশে মিষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই মিষ্টির উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে ক্ষুধাভাবের সময়টা খুঁজে বের করুন। এরপর তা লিখে রাখুন। ক্ষুধাভাব হলে অন্য খাবার খান। যা-ই খাচ্ছেন তা লিখে রাখুন একটি নোটবুকে। যা আপনাকে জানান দেবে আপনি কতটুকু মিষ্টি খাচ্ছেন বা বাড়াচ্ছেন নাকি কমাচ্ছেন।

মানসিক চাপের উপর লক্ষ্য রাখুন
মানসিক চাপ অনেক সময় আপনাকে মিষ্টির প্রতি আসক্ত করে তোলে। যা আপনার শরীরে বিপরীত দিক সৃষ্টি করতে পারে। আপনার সাময়িক কমানো মানসিক চাপ আপনার শরীরের ওজন বাড়িয়ে আরো মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই যখনই আপনি মানসিক চাপ বা চিন্তাযুক্ত অবস্থায় থাকবেন, তখনই মিষ্টিকে এড়িয়ে চলুন।

কখন আপনার শরীরে শক্তির প্রয়োজন
আমাদের অনেকেরই ধারণা যে, মিষ্টি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়। কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী। যা লম্বা সময়ের জন্য নয়। তাই আপনি ক্ষুধার্ত হলে বা শক্তির প্রয়োজন হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রোটিন, ভিটামিন, আমিষ জাতীয় খাবার বেশি করে খান।

প্রোটিন জাতীয় খাবারে অভ্যাস করুন
খাবারের বেলায় প্রোটিন, ভিটামিন খাবারকে তালিকার প্রথম পর্যায়ে রাখুন। যখনই ক্ষুধাবোধ হবে- কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, বাদাম খেয়ে নিন। যখনই খাবার পছন্দের পালা আপনার দিকে আসবে তখনই তুলে নিন এসব খাবার। প্রতিবার খাবার শেষে নোট করে রাখুন কী খাচ্ছেন? এতে আপনার মাঝে তৃপ্তিবোধ কাজ করবে।

অল্প অল্প খাবার খান
অল্প অল্প করে সারাদিন খাবার খেলে আপনার ক্ষুধাভাব কম হবে এবং আপনি পর্যাপ্ত শক্তি পেতে থাকবেন। এছাড়া অল্প করে খাবার খেতে থাকলে আপনি সহজে ক্ষুধার্ত হবেন না এবং মিষ্টির প্রতিও আকৃষ্ট হবেন না ।

লেভেল পড়ে খাবার কিনুন
অনেক ক্ষেত্রেই খাবারে সুগার বা চিনি লুকিয়ে থাকে। যেমন ব্রাঊন সুগার, কর্ণ সিরাপ, গ্লুকোজ ইত্যাদি। তাই খাবার নির্বাচনের সময় সজাগ হোন।



মন্তব্য চালু নেই