‘মিরাজ ভাই বলেছিলেন, তুই জাস্ট ভালো জায়গায় বল করবি, ঘাবড়াবি না’
আফিফ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে তার। অভিষিক্ত ম্যাচেই কারিশমা। নিয়ে নিলেন ৫ উইকেট।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, সবাই তাকে জেনুয়েন বোলার ভাবলেও দারুণ শট আছে আফিফের হাতে। স্ট্রোক খেলতে ভালোবাসেন। অভিষেকেই গেইল-তামিমদের সঙ্গে সামলাতে হলো মিডিয়াকেও। সংবাদ সম্মেলনে এসে স্বলজ্জ। এখনও বাচ্চাসূলভ হাসিটা লেগে আছে যেন ঠোটর কোনায়। প্রশ্নটা করা হলো, বিপিএলে এসে তো নিজের বোলিংটাকে নতুন করে চেনালেন। ভবিষ্যতে বোলিং নিয়ে প্রত্যাশাটা কী আপনার? জবাবে সেই সলজ্জ হাসি। বললেন, ‘না ভাই। আমি মূলতঃ ব্যাটসম্যান। ব্যাটিংটাই আমার প্রধান কাজ।’ উত্তরটা এখানেই থেমে গেলো। আর বাড়ালেন না।
এরপর জানতে চাওয়া হলো আফিফের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ করা প্রয়োজন, কিছুদিন আগেও আফিফের বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা ছিল। বিকেএসপিতে তিন মাসের ক্যাম্প করেছেন তিনি। কাজ করেছেন বোলিং কোচ মাহবুব জ্যাকির সঙ্গে। তাতেই অ্যাকশন শোধরানো হয়েছে তার। এরপর বিসিবি একাডেমিতে এনেও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে তার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করা হয়। আফিফের কাছে জানতে চাওয়া হয়, অ্যাকশনের এখন কী অবস্থা। খুব সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘অ্যাকশন এখনও ঠিক আছে।’
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল তুলে দেয়া হয়েছিল আফিফের হাতে। সিনিয়র কোন দলে জীবনে প্রথম বোলিং করতে যাচ্ছেন। ওই সময় তাকে কে কী বলেছিলেন? আফিফ বলেন, ‘মিরাজ ভাই এসে আমাকে বলেছিলেন, তুই জাস্ট এক লাইনে, ভালো জায়গায় বল করবি। ঘাবড়াবি না।’
এরপরও প্রথম দুই বলে জহুরুল ইসলাম অমি তাকে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে দেন। তাতে কিছুটা ঘাবড়ে যান আফিফ। নিজেই সে তথ্য জানালেন সংবাদ সম্মেলনে। একই সঙ্গে বললেন, ‘ওই দুই বাউন্ডারির পর স্যামি আসলেন। আমাকে বললেন, ঘাবড়ায়ো না। ঠিক ভালো জায়গায় বল ফেলো। তারপর দেখা যাবে। অধিনায়কের কথা মতো আমি সে কাজটাই করেছি। বল ভালো জায়গায় ফেলেছি। তাতেই ৫ উইকেট পেলাম আমি।’
তিন আগেও বিকেএসপিতে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে। সেখান থেকে হঠাৎই তাকে ডেকে আনা হয় বিপিএলে রাজশাহী কিংসে। আর গতকাল বিকেলেই প্রথম জানতে পারেন আজ খেলবেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই