মিরাজের বীরত্বের পরও আজ যে কারণে হারলো বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলার পর সিংহলিজ ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটিং উইকেটে বাংলাদেশের জয়টা খুব কঠিন ছিল না। কিন্তু, সেই মোটামুটি সহজ পথে হাঁটতে গিয়েও হোঁচট খেল বাংলাদেশ।

বলা ভাল, অসহায় আত্মসমর্পণ করলো সফরকারীরা। শ্রীলঙ্কার ২৮০ রানের জবাবে অল আউট হওয়ার আগে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল করলো ২১০ রান। ৭০ রানের এই হারের কারণে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ড্র হল ১-১ ব্যবধানে। তৃতীয় ম্যাচে অলরাউন্ডার মিরাজের বীরত্বের পরও অন্যন্যা ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যথতার কারণে হেরেছে বাংলাদেশ।

লঙ্কানদের ২৮০ রানের জবাবে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। মাত্র ১১ রানের মধ্যে প্রথম তিন উইকেটের পতন হয়। সেখান থেকে সাকিব আর সৌম্য ৭৭ রান যোগ করে বিপদ কমান।

তবে, ৩৮ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর থেকে প্রায় নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। মাঝে ৫৪ রান করে সাকিবও সাজঘরে ফিরলে স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

শেষের দিকে ভালই ব্যাট চালাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৫১)। ওয়ানডেতে প্রথমবারের মত ব্যাট করতে নেমেই পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরি। অষ্টম উইকেটে মাশরাফির সাথে ২৮ আর নবম উইকেটে তাসকিনের সাথে ৪৫ রান যোগ করেন মিরাজ। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৪.৩ ওভারেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পান মাশরাফি বিন মুর্তজা। মুস্তাফিজুর রহমান দুটি, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট পান।

লঙ্কান ইনিংসের মূল সমস্যা ছিল টপ অর্ডারে বড় ইনিংসের অভাব। এক কুশল মেন্ডিসই ৭৬ বল খেলে ৫৪ রান করেছেন। দানুশকা গুনাথিলাকা ৩৪, অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা ৩৫, দিনেশ চান্দিমাল ২১, মিলিন্দা শিরিবর্ধনে ১২, আসেলা গুনারত্নে ৩৪ – প্রত্যেকেই ভাল সূচনা পেলেও সেটা লম্বা করতে পারেননি।

তবে, শেষের দিকে থিসারা ৪০ বলে ৫২ রান করেন। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কা। এই নিয়ে প্রথমবারের মত কোনো ওয়ানডে সিরিজে দুটি হাফ সেঞ্চুরি পেলেন। টেল এন্ডারদের সাথে নিয়ে তিনিই দলকে ২৮০ রান অবধি টেনে নিয়ে যান।



মন্তব্য চালু নেই