মিতু হত্যা: তদন্তে আলোর বাইরে যাবে না পুলিশ
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে নিয়ে জনমনে যত প্রশ্নই থাকুক না কেন, প্রকাশ্য আলোয় তদন্তে যা আসবে সেদিকেই এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
‘আমাদের সূর্যের আলোর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তদন্তে আমরা সে সূর্যের আলোর মধ্যেই থাকব,’ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।
পুলিশের তদন্ত এবং অজ্ঞাত পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে গণমাধ্যমের খবরে মানুষের মধ্যে যেসব প্রশ্ন জন্ম নিচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন: পুলিশ আইনের মধ্যে থেকে তার তদন্ত চালাবে। তদন্ত সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
মানুষের মধ্যে নানামুখি প্রশ্নের বিপরীতে কিংবা সমান্তরাল পুলিশের মধ্যে নতুন এবং পুরনো কী কী প্রশ্ন আছে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, একটি হত্যা মামলার তদন্তে যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হয় পুলিশ সেটা করছে।
‘তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, সেটুকু আপনারা জানবেন,’ বলে নিশ্চিত করেন ইকবাল বাহার।
বাবুল আক্তারকে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার নিহত স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে জড়িয়ে কিংবা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ‘শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া’র খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার।
শুক্রবার গভীর রাতে পুুলিশ সুপার বাবলু আক্তারকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। একজন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং একজন ইন্সপেক্টর তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শীর্ষ এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে হবে জানিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যান।
এর আগে চট্টগ্রামে আটক পুলিশের কথিত তিন সোর্সকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ডিবি’র একটি সূত্র ওই দিন জানায়, কথিত ৩ জন সোর্সকে বাবুল আক্তারের মুখোমুখি করে মিতু হত্যা মামলার বিষয়ে পাওয়া তথ্য-প্রমাণগুলো যাচাই করা হয়।
পরে শনিবার সকালে এক অনুষ্ঠানের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বাবুল আক্তারকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। মিতু হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরে ফেলেছে পুলিশ। হত্যাকারীদের দেওয়া তথ্য এবং বাবুল আক্তারের তথ্য মিলিয়ে দেখতে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
এ নিয়ে নানা আলোচনার পর প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর বাসায় ফিরেন বাবুল আক্তার। তিনি দাবি করেন, মামলার তদন্ত বিষয়ে কথা বলতেই তাকে ডেকে নেওয়া হয়।
সেদিনের পর থেকেই সামাজিক গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাবুল আক্তারকে নিয়ে তৈরি নানা কথাবার্তা।
গত ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে শিশু সন্তানের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়। পরের দিন ভোরে নগরীর বাদুরতলা বড় গ্যারেজ এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর পুলিশ দাবি করে বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী ভূমিকার কারণেই তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সারাদেশে শুরু হয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত ক্রসফায়ারে নিহত হয় কমপক্ষে ৬ জঙ্গি।চ্যানেল আই অনলাইন
মন্তব্য চালু নেই