মিঠাপুুকুরে মাংসের মূল্য চড়া ॥ বিপাকে নিন্ম আয়ের মানুষ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মাংসের দাম। গত ১ মাসের ব্যবধানে গরু, ছাগল ও মুরগীর মাংস প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে একদিকে মূল্য বৃদ্ধির কারনে উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষের মাংস কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অপর দিকে যত্রতত্র বিক্রি করায় মাংসের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পুষ্টি ও সুস্বাদু খাবার হিসাবে মাংসের ব্যবহার দীর্ঘদিনের। কিন্তু এ মাংস নিয়ে বিপাকে রয়েছেন মিঠাপুকুর উপজেলার সর্বসাধারণ। একদিকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি করা হচ্ছে, অপরদিকে মূল্য তালিকা না ঝুলিয়েই ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৩৪০-৩৬০ টাকা, খাসির মাংস ৪৮০-৫০০, গরীবের মাংস হিসাবে পরিচিত ব্রয়লার মাংস ২১০-২২০, কক(লেয়ার) ১৭০-১৮০ এবং দেশী মুরগীর মাংস ৩৫০ টাকা দরে। অথচ একমাস আগে মাংসের মূল্য ছিল প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা কমে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে সরেজমিনে মিলেছে এ তথ্য। মূল্য বৃদ্ধির কারনে মাংস কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের।

উপজেলার রাণীপুকুরের ফুয়াদ মাষ্টার বলেন, আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষেরা আগে সপ্তাহে একদিন হলেও মাংস খেতাম বর্তমানে যে হারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সপ্তাহে কেন মাসে একদিনও মাংস খাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই মূল্য বৃদ্ধি করেছেন বলে জানান ভূক্তভোগীরা।

রাণীপুকুর এরশাদমোড়ের মাংস ব্যবসায়ী আশিকুর জানান, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদকরা পায়কারী মূল্য বৃদ্ধি করেছে। যার কারনে গত এক মাসের ব্যবধানে মাংসের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকায় গরুর মাংস মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারন বলে জানান তিনি।
মান নিয়ন্ত্রন ও অস্বাভাবিক মূল্য রোধে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন এলাকাবাসী।



মন্তব্য চালু নেই