মিঠাপুকুরে ২০৮ জনে ১ টি ভিজিডি কার্ড!

রংপুরের মিঠাপুকুরে ২০৮ জনের জন্য বরাদ্দ এসছে একটি ভিজিডি কার্ড। অপরদিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বরাদ্দ হয়েছে ৫৩ জনে ১টি কার্ড। জেলার বৃহত্তম মিঠাপুকুর উপজেলায় কম সংখ্যক কার্ড বরাদ্দ পাওয়ায় উপকারীভোগীর তালিকা তৈরী করতে গিয়ে হিমসীম খেতে হচ্ছে জন প্রতিনিধিদের।
জানা যায়, মিঠাপুকুরে লোক সংখ্যা ৫২৭৪৫৭ জন। এর বিপরীতে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে ২৫৪৮টি। পীরগঞ্জে লোক সংখ্যা ৪০০১৮৫ জন। ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে ২৫৫৩ টি। রংপুরের সবচেয়ের ছোট উপজেলা তারাগঞ্জ। এর লোক সংখ্যা ১৪৭৯৪৮ জন। এ উপজেলা ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে ২৭৮৩ টি। বদরগঞ্জে লোক সংখ্যা ২৯৯০৪৬ জন। সেখানে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দিয়েছে ২৮০৫টি। গঙ্গাচড়ায় লোক সংখ্যা ৩০৯২১৯ জন। ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে ২৬৮৮টি। পীরগাছায় লোক সংখ্যা ৩২৫২৫৮ জন। সেখানে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে ২৫৩৬ টি। কাউনিয়ায় লোক সংখ্যা ২৩৭৩৫৫ জন। ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পেয়েছে ২৮৫৫ টি। অর্থাৎ ইউনিয়ন ও লোক সংখ্যা অনুপাতে ৭ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় উপজেলা মিঠাপুকুর। সেখানে আনুপাতিক হারে সর্বাধিক কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই উপজেলায় ২০৮ জন মানুষের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১টি ভিজিডি কার্ড। অপরদিকে, তারাগঞ্জ রংপুর জেলার সবচেয়ে ছোট উপজেলা। অথচ, এ উপজেলায় ৫৩ জনে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১টি। চাহিদার তুলনায় ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ কম পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপকারভোগীর তালিকা তৈরী করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।

মিঠাপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান সমিতি’র সাধারন সম্পাদক ও দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম প্রামানিক বলেন, মিঠাপুকুরে ১৭ ইউনিয়নে প্রায় ৬ লাখ মানুষের বসবাস। অথচ, এখানে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ সবচেয়ে কম। যার ফলে হতদরিদ্র পরিবারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহা. হারুন-অর রশিদ বলেন, যে সকল উপজেলায় হত দরিদ্র পরিবারের বসবাস বেশি- সেসব উপজেলায় ভিজিডি কার্ড কিছুটা হলেও বরাদ্দ বেশি পেয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই