মিঠাপুকুরে সিপিবি-বাসদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে আহত-১০, আটক-১৫

রংপুরের মিঠাপুকুরে সিপিবি ও বাসদের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ দুই দলের নেতাকর্মীদের ছাত্রভঙ্গ করতে ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। এসময় সিপিবি-বাসদের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।

গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সরকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সিপিবি ও বাসদ বুধবার উপজেলা সদরের প্রেসক্লাব শাপলা চত্বর এলাকায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বক্তব্য দেওয়ার সময় মহাসড়কের দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। একটি মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশ বাধা দেয়।

এসময় পুলিশের ওপর চড়াও হন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে পুলিশী বেরিকেড ভেঙ্গে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এসময় তারা পুলিশের ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেন। পরে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে আব্দুর রশিদ, মনির হোসেন, সঞ্জয়, শামিমসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে পুুলিশ অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- রংপুর জেলা সমন্বয়কারী আব্দুল কুদ্দুস, রংপুর জেলা ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ছাদেক আলী, ছাত্রফ্রন্টের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন, কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারন সম্পাদক জনক রায়, দপ্তর সম্পাদক অনিক অনিক আহমেদ, বাসদের মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক প্রভাষক আতিয়ার রহমান, বাসদ নেতা হিমাংশু বর্মণ, বাসকোর দাস গুপ্ত, আশিকুল ইসলাম তুহিন, শামীম আহমেদ, মোফাজ্জল হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, লোকমান ও আব্দুর রাজ্জাক রতন।

মিঠাপুকুর থানার পুুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে মিঠাপুকুরের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই