মিঠাপুকুরে ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের শিশু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে
রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রথম শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষনের পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে গেছে ধর্ষক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশুটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের লোহাকুচি গ্রামে। ধর্ষনের শিকার ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর। বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষনকারীকে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার লোহাকুচি গ্রামের আকমল হোসেনের স্ত্রী একজন বিড়ি শ্রমিক। আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন তিনি। গত শনিবার সকালে তার ছেলে ও মেয়েকে বাড়িতে রেখে তিনি কাজে যান। সকাল ৮ টার দিকে মায়ের কাছে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত এক যুবক শিশুটিকে (৭) পাশের আখক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। সেসময় শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ধর্ষনকারী পলিয়ে যায়। পরে জ্ঞান ফিরে এলে শিশুটি কাতরাতে থাকে। আখক্ষেত থেকে শব্দ শুনতে পেলে আশেপাশের লোকজন শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে স্থানন্তর করা হয়। এ বিষয়ে ধর্ষনের শিকার ওই শিশুটির বাবা আকমল হোসেন বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, খুব ধ্রুত ধর্ষককে সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য চালু নেই