শালিস বৈঠকের টাকা দিতে না পারায়

মিঠাপুকুরে দিনমজুরকে বেঁধে প্রহারের পর থানায় সোপর্দ

শালিস বৈঠকের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক বেধড়ক প্রহারের শিকার হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক দিনমজুর। প্রহারে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চিকিৎসা না করিয়ে চেয়ারম্যান থানায় সোর্পদ করেন। বুধবার রাতে কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনাটি ঘটে। কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান হাফিজ এই প্রহার করেন।

এলাকাবাসি জানায়, কাফ্রিখাল ইউনিয়নের পশ্চিম আলিপুর গ্রামের দিনমজুর আশরাফুল। মাসখানেক আগে প্রতিবেশি এসলাম মিয়ার সাথে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে এক শালিস বৈঠকে আফরাফুলের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দিনমজুর আশরাফুলের পক্ষে জরিমানা টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। গত বুধবার রাতে আশরাফুল ইসলাম আলিপুর বাজারে আসা মাত্রই চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান । সেখানে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে আশরাফুলকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করা হয়। এতে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।

পরে চেয়ারম্যান চিকিৎসা না করেই কৌশলে রাত দেড়টার দিকে থানা পুলিশে দেয় ওই দিনমজুরকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশরাফুলকে থানা হাজতে দেখা গেছে। তার নামে তখনও মামলা দায়ের করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, চেয়ারম্যান রাতে আশরাফুলকে ধরে নিয়ে বেধরক মারপিট করেন।

এ বিষয়ে মিঠাপুুকুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, জরিমানার টাকা না দিয়ে উল্টো আবারও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হুমকি দেওয়ার অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে (আশরাফুল) আটক করে পুলিশে খবর দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান হাফিজ বলেন, শালিস বৈঠকের টাকা না দিয়েই আশরাফুলের লোকজন আমাকে হুমকি দেওয়া শুরু করেন।

গত বুধবার সন্ধ্যায় আমি আশরাফুলকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসি। টাকা না দেওয়ায় তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। আশরাফুলকে কোন মারপিট করা হয়নি বলে দাবি করেন ওই চেয়ারম্যান।



মন্তব্য চালু নেই