মিঠাপুকুরে গ্রাহকের ২৪ লক্ষ টাকা এনজিও কর্তৃপক্ষের আত্মসাতের অভিযোগ

রংপুরের মিঠাপুকুরে সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ৭’শ গ্রাহকের ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ১’শ টাকা কর্তৃপক্ষের আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে। অসহায় সদস্যদের জমাকৃত টাকা ফেরত প্রদানের দাবী জানিয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহা-পরিচালকের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মিঠাপুকুর শাখা ব্যবস্থাপক বেলা রাণী।
অভিযোগে জানা গেছে, সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বেগম রোকেয়া স্মরণী মল্লিক প্লাজা ৫ম তলা, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ রংপুরের মিঠাপুকুরে ২০০২ সালে একটি শাখা খুলে ০৫/১০ বৎসর মেয়াদী মাসিক সঞ্চয় ও এককালিন জমা যা ৬ বৎসরে দ্বিগুণ প্রদানের প্রকল্প চালু করেন। বেলা রাণী উক্ত শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার পর ঐ বছরের জানুয়ারী মাস হতে কর্তৃপক্ষ মিঠাপুকুর শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। ফলে ০৫/১০ মেয়াদী মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের ৭ শত জন গ্রাহকের জমাকৃত ২০ লক্ষ ৬৮ হাজার ১শ টাকা ও এককালিন জমা প্রকল্পের ১৭ জন সদস্যের ৪ লক্ষ ২২ হাজার টাকা মোট ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ১শ টাকা সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর প্রধান কার্যালয়ে জমা থাকে। যার লাভ সহ মোট প্রায় ৩০ ত্রিশ লক্ষ টাকাসহ সদস্যদের ফেরত দেয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘ দিন হলেও টাকা ফেরত প্রদান করেন নি এবং টালবাহানা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ৭শত গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত চেয়ে বেলা রাণীকে চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। বেলা রাণীর গ্রামের বাড়ী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামে। গ্রাহকের টাকার চাপে তিনি ঢাকায় এক বাসায় আত্মগোপন করে আছেন এবং সোনালী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, ঢাকা কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্না দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ০১ পার্ক এভিনিউ মৎস্য ভবন (১০ তলা) রমনা, ঢাকার মহা-পরিচালক এনজিও বিষয়ক ব্যুরো’র কাছে গত বছরের ১৫ নভেম্বর টাকা ফেরতের দাবী জানিয়ে বেলা রাণী আবেদন করেন।



মন্তব্য চালু নেই