মিঠাপুকুরে গো’হাটিতে গরু বাঁধলেই খুঁটি প্রতি এক’শ
মো: শামীম আখতার, উপজেলা প্রতিনিধি, মিঠাপুকুর (রংপুর): ‘এক খুঁটি এক’শ। গরু বাঁধলেই এক’শ। রেডিমেট খুঁটি, গরু বাঁধেন এক’শ।’- এভাবেই গরু বিক্রি করতে আসা খামারি ও গরুর মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন খুঁটির মালিকেরা। তারা নিয়মিত কোন খুঁটি ব্যবসায়ি নন- তারা শঠিবাড়ী কলেজ মাঠে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে পশুরহাটে খুঁটি গেড়ে গরু বাঁধার জন্য ব্যবস্থা করেছেন।
এজন্য প্রতিটি খুঁটির ভাড়া নিচ্ছেন একশ টাকা করে। এরকম শঠিবাড়ী হাটে প্রায় ১০/১২ জন স্থানীয় যুবক জমে তুলেছেন খুঁটি ভাড়ার ব্যবসা।
সরেজমিনে শঠিবাড়ী ডিগ্রী কলেজ মাঠে অস্থায়ী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গোটা মাঠ জুড়ে প্রায় ৫শ খুঁটি গাড়া হয়েছে। সপ্তাহের রোববার ও বৃহস্পতিবার বসে শঠিবাড়ী হাট। এই হাটের জায়গার সংকুলান না হওয়ায় ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ শঠিবাড়ী ডিগ্রী কলেজ মাঠে অস্থায়ী হাট বসিয়েছেন।
সেখানে নতুন করে তৈরী করতে হয়েছে গরু রাখার জায়গা ও বাঁধার জন্য গাড়া হয়েছে খুঁটি। ওই খুঁটিগুলো স্থানীয়রা হাটের দিনে ভোরবেলায় গেড়ে রাখেন। আর সকাল হলেই গরুর বিক্রেতারা গরু বাঁধার জন্য এসব খুঁটি ভাড়া নিয়ে থাকেন। আর এজন্য গরুর মালিককে প্রতিটি খুঁটির জন্য ভাড়া দিতে হয় ১শ টাকা করে।
শঠিবাড়ী অস্থায়ী হাটে গরু বিক্রি করতে আসা গোপালপুর ইউনিয়নের আব্দুস সামাদ সরকার বলেন, হাটে গরু বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছি। গরু খুঁটিতে বাঁধার জন্য ভাড়া দিতে হয়েছে। প্রতিটি খুঁটি ভাড়া নিয়েছেন ১শ টাকা। পীরগঞ্জ উপজেলার আরেক খামারি মমিনুর রহমান বলেন, অস্থায়ী হাটে বসচেয়ে বড় সমস্যা গরু বাঁধা।
গরুর বাধার জন্য বেশকিছু খুঁটি আগেই গেড়ে রেখেছেন অনেকে। গরু বিক্রি হলেই এজন্য খুঁটি প্রতি ভাড়া দিতে হচ্ছে ১শ টাকা। গরু বিক্রেতা আজাহার আলী বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় কলেজ মাঠে প্রচুর কাদা হয়েছে। তাই, গরু ধরে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। এজন্য খুঁটি ভাড়া নিয়েছি।
শঠিবাড়ী হাট ইজারাদার মেসবাহুর রহমান চৌধুরী মিলন বলেন, শঠিবাড়ী স্থায়ী গো’হাটিতে গরুর জায়গা হচ্ছে না। তাই, প্রতি বছর ২ ঈদে শঠিবাড়ী কলেজ মাঠে অস্থায়ী হাট বসানো হয়।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মামুন-অর-রশীদ বলেন, উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট শঠিবাড়ী। সেখানে কয়েক উপজেলার মানুষেরা গরু কেনার জন্য আসেন। খুঁটি বসিয়ে ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি।
মন্তব্য চালু নেই