অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে
মিঠাপুকুরের ছড়ান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৩৭৪ ভোটার তালিকায় ৫৩৭ জন!
নিজের মত করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রংপুরের মিঠাপুকুরে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকায় বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী দেখিয়েছেন এক প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও, একই শিক্ষার্থী নাম দু’জায়গায় ও পাশের বিদ্যালয় থেকে ভাড়া করে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ছাড়ান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকিন মিয়ার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহি অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকগন।
উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নে অবস্থিত ছড়ান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকিন মিয়া কৌশলে নিজের লোকদের ম্যানেজিং কমিটিতে নিয়ে আসার জন্য ভোটার তালিকায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী দেখিয়ে অভিভাবক তৈরী করেন। পাশের হলিচাইল্ড বিদ্যালয় ও ফাইম রেসিডেন্সিয়াল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নাম দিয়ে চুড়ান্ত ভোটার প্রনয়ন করেন। ছড়ান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭৪ জন।
অথচ, চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় তিনি শিক্ষার্থী দেখিয়েছেন ৫৩৭। এছাড়াও, ভোটার তালিকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর নাম ভুল ছাপানো হয়েছে। চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রনয়ণের পর শ্রেণীকক্ষে পাঠ করে নোটিশবোর্ডে ৩ দিন ঝুলিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। বিদ্যালয়ে যোগদানের ১ বছর পূর্ণ না হওয়াতেও শফিকুল ইসলাম ও আব্দুল বারী নামে দুই শিক্ষককে ভোটার তালিকায় নাম দিয়েছেন।
অভিভাবক আবু বর, গোলাম মোস্তফা, ফাত্তার, মোন্নাফ, নুরনবী মন্ডলসহ অনেকে বলেন, প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা করেছেন। ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন নিজেদের লোকজনকে। যাতে করে নিজের মত করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে তার সুবিধা হয়। ছড়ান দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকিন মিয়া বলেন, যাদের নাম ভোটার তালিকায় এসেছে তারা সকলেই বিদ্যালয়ের অভিভাবক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী দেখানোর বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহা. হারুন অর-রশীদ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও যুব উন্নয়ন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী দেখিয়ে ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করা হয় তাহলে নির্বাচন বন্ধ করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই