মায়ের বঁটির কোপে মেয়ের হাত দুই টুকরো

আবারও একটি অমানবিক নৃশংসতা দেখলো ফরিদপুর। জেলার আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকায় মায়ের বঁটির কোপে ১০ বছরের শিশু কন্যা আছিয়ার একটি হাত দুই টুকরো হয়ে গেছে। শাসন করার এক পর্যায়ে নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মা এই ঘটনা ঘটান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শনিবার বিকাল চারটার দিকে ভরমিঠাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আছিয়াকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর শহরে মোটর সাইকেল না পেয়ে ছেলের দেয়া আগুনে দগ্ধ হন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদার ছেলে এ টি এম রফিকুল হুদা। ছয় দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান তিনি।

এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার আরও একটি অমানবিকতা দেখে ফরিদপুর শহর। পৌর এলাকায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা জহুরুন নেছাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন তারই ছেলে বদরুল করিম স্বপন। পর দিনই মায়ের দায়ের কোপে মেয়ের হাত দুই টুকরো হয়ে যাওয়ার খবরে শহরবাসীরা বিষ্মিত হয়ে পড়ে। পরিচিতজনদের মধ্যে আলোচনায় প্রায়ই উঠে আসছে, ফরিদপুরে এ কী হচ্ছে।

আছিয়ার বাবা ভরমিঠাপুরের ওয়ার্ড মেম্বর মোহাম্মদ কুবাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেয়ের সঙ্গে অভিমান করে তাসলিমা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

যেভাবে ঘটলো ঘটনাটি

স্থানীয়রা জানান, আছিয়া আরো অনেকের সঙ্গে পাশের বাড়ি মাবিয়া বেগমের ঘরে টিভি দেখতে যায়। শিশুটি চলে আসার পর মাবিয়া অভিযোগ করেন, তার দেড় হাজার টাকা হারিয়ে গেছে।

বাসায় বিচার নিয়ে আসার পর তাসলিমা বেগম তার মেয়ে আছিয়াকে জেরা করেন। এক পর্যায়ে শিশুটির হাতের কব্জিতে হাতের বঁটি দিয়ে কোপ দেন তাসলিমা। এতে আছিয়ার ডান হাত দুই টুকরো হয়ে যায়।

খবর পেয়ে মেয়ের বাবা কুবাদ তাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে নেয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসক পূর্ণ চন্দ্র দাস বলেন, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রাগের মাথায় তাসলিমা বেগম এই কা- করার পর মেয়ের অবস্থা দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ‘এ আমি আমি কী করলাম’ বলে বারবার তিনি বিলাপ করে কান্নাকাটি করেই চলেছেন।



মন্তব্য চালু নেই