মাশরাফির কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস
দেখতে দেখতে সময় চলে এলো। বিশ্বকাপের সূচী অনুযায়ী পরের ম্যাচটিই বাংলাদেশের। ক্যানবেরার মানুকা ওভালে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টায় আফগানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পুরো একদিনও আর বাকি নেই।
ম্যাচ পুর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আফগানদের মুখোমুখি হওয়ার প্রত্যয় এবং আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ল আজ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কণ্ঠে। বললেন, ‘ম্যাচটা জয়ের জন্য আমরা নিজেদের সোরাটাই ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
তুলনামূলক কম শক্তির দল আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে একেবারেই নতুন। বাংলাদেশকে দিয়েই বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটবে আফগানদের। সব মিলিয়ে দলটির সর্বমোট ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা মাত্র ৪৫টি। এমন একটি দলের মুখোমুখি হতে তবে এত ভয় কেন?
ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। জায়ান্ট কিলিং ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশকে কোনভাবেই জায়ান্ট বলা যায় না। কিন্তু; তুলনামূলক শক্তিশালি দল তো।
আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এ কারণেই কিছুটা ভয় কাজ করছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের হৃদয়ে। কারণ, মুখোমুখি পরিসংখ্যানে কিন্তু এগিয়ে আফগানরাই। গত বছর এশিয়া কাপে এই দলটির মুখোমুখি হয়েই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। একই সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচেও না জেতার কারণে ভয় নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। যদিও এই ভয়কে জয় করার আত্মবিশ্বাসই দেখালেন মাশরাফি।
তামিম ইকবাল কি খেলবেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে? এ প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘তামিম খেলতে পারবে। ও ভালো খেলছে। মানসিকভাবেও সে শক্ত। আশা করছি, সামর্থ্যরে সেরাটাই ঢেলে দেবে সে।’
তারুন্য নির্ভর দলটি কি পারবে বিশ্বকাপের মত চাপ সামলে নিতে। জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তরুণদের সব সময় দরকার আছে। তারা ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। এছাড়া তাদের সামনে মুশফিক-সাকিব-তামিমের উদাহরণ আছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে গিয়ে তারা ভালো করেছিল। দারুন চমকে দিয়েছিল। তারা যেভাবে চমকে দিয়েছিল, বর্তমান দলের তরুনেরাও পারবে ইনশা আল্লাহ।’
মন্তব্য চালু নেই